ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এলো ৩২৫৭ মেট্রিকটন চাল

হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : ভারত থেকে চাল আমদানির শেষ দিনে দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিন হাজার ২৫৭ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধের গেজেট প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল মঙ্গলবার ভারতীয় ৮০টি পণ্যবাহী ট্রাকে এই পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারকরা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৫ এপ্রিল ভারত থেকে চাল আমদানির শেষ দিন ছিল। ভারত থেকে চাল আমদানির সময় বৃদ্ধি না করা হলে দেশের বাজারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তারা। সরকারের রাজস্ব ঘাটতির পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলেও জানান তারা। তারা আরও জানান, বন্দরের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে চাল আমদানির এলসি ও ওপারে স্লট বুকিং দিয়েছেন ইতিমধ্যে।
গতকাল মঙ্গলবার শেষ দিনে সব গাড়ি প্রবেশ করতে না পারে এবং ভারতের ওপারে পাইপ লাইনে গাড়ি আটকা থাকলে ব্যবসায়ীরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। হিলি বন্দরের কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভপতি ফেরদৌস রহমান জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক (১৫ এপ্রিল) মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে চাল আমদানির শেষ দিন ছিল।
ভারত থেকে চাল আমদানির সময় বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা আবেদন করলেও সময় বৃদ্ধির কোন চিঠি পাওয়া যায়নি। ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হলে সরকারের রাজস্ব ঘাটতির পাশাপাশি দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও জানান, ব্যবসায়ীরা তাদের এলসিকৃত চাল ভারত থেকে আমদানি শেষ করেছেন। ভারতের ওপারে পাইপ লাইনে কোন গাড়ি আছে বলে আমার জানা নেই।
আরও পড়ুনহিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম জানান, ভারত থেকে চাল আমদানির ১৫ এপ্রিল শেষ দিন ছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত চাল আমদানির সময় বৃদ্ধির কোন চিঠি আমরা পাইনি। তবে সময় বৃদ্ধি করা হবে বলে মনে হচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, আজ ১৫ এপ্রিল বেনাপোল, ভোমরা, বুড়িমারীসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধের গেজেট প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হলে সরকারের রাজস্ব কম হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ২০১টি ট্রাকে প্রায় আট হাজার ৪৫০ মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন