প্রকৃতির বৈরী আচরণ নাগেশ্বরীতে মৌসুমের শেষে ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কিত কৃষক

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: নাগেশ্বরীতে মৌসুমের শেষ মুহুর্তে প্রকৃতির বৈরী আচরণের কারণে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষক। ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে পাকা ধান।
গত কয়েকদিন ধরে রাত ও দিনে বিরতি দিয়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় সর্বক্ষণ ভেজা থাকছে মাটি। ফলে বৃষ্টি শুরুর আগে কেটে বাড়িতে আনা ধানের মাড়াই ও শুকানোর কাজ ঠিকমত করতে পারছেন না কৃষক। এরমধ্যে অন্যান্য জমির ধানও পেকে গেছে সম্পূর্ণ। সেগুলো ক্ষেতে রাখলে ঝড়-বাতাসে শিষ থেকে ধান ঝরে যাবে। আবার কেটে বাড়ি নিয়ে এলেও সঠিক সময়ে মাড়াই, পরিস্কার ও শুকাতে না পারায় উঠানেই ধান থেকে গজাচ্ছে গাছ। উভয় সঙ্কটে পড়েছেন তারা।
পৌরসভার বানিয়াপাড়ার কৃষক আব্দুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম, মোজাফ্ফর হোসেন, শমসের আলী, নুনখাওয়া বাহুবল মন্ডলের ভিটা গ্রামের মাহবুবুর রহমান, সেকেন্দার আলী, আব্দুল মতিন, আব্দুল হক, আজিজুল হক, আনিছুর রহমানসহ প্রায় বিভিন্ন এলাকার অনেকেই বলেন, এবার অন্যান্য বারের তুলনায় ধানের ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু ঘন ঘন বৃষ্টিতে সে ধান ঠিকমত ঘরে তুলতে পারছি না আমরা।
আরও পড়ুনকুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র নরকার জানান, এটি মৌসুমি বৃষ্টিপাত। চলবে আগামী ২০ মে পর্যন্ত। তবে একটি ধূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টিপাত আরো কয়েকদিন বাড়বে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, উপজেলায় এবার ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অর্জিত হয়েছে ২৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫ হেক্টর বেশি। ফলন হয়েছে ভাল। তবে শেষে মুহুর্তে ফসল ঘরে ওঠার সময় প্রকৃতির বৈরীতায় দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনা।
উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, এ সময় সাধারণত বৃষ্টিতে ধানের তেমন কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে শিলাবৃষ্টি হলেই সমস্যা।
মন্তব্য করুন