ছাত্রদল নেতার পরকীয়া প্রকাশ করায় যুবদল কর্মীকে হত্যা
_original_1754823439.jpg)
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছুরিকাঘাতে রনি হোসাইন (৩০) নামে এক যুবদল কর্মীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলার গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের কদমতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ হত্যার সঙ্গে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাজুর জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১১টার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাজুকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন যুবদল কর্মী রনি হোসাইন। পোস্টে রাজুর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনে তার সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করেন রনি। এর ঘণ্টাখানেক পর রাত ১২টার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌরসদরের কদমতলা এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে রনি লেখেন, 'এই কুলাঙ্গার দুইটা বাচ্চা রেখে অন্য আরেকজনের বিবাহিত বউ নিয়ে হোটেলে হোটেলে ঘুরতেছে আর পরকীয়া করতেছে। এর প্রতিবাদ করেছিলাম, এইজন্য ফেক আইডি চালু করে আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট কথা প্রচার করছে সে এখন।
এই লেখার সঙ্গে রাজু ও এক নারীর ছবি আপলোড করেন রনি। এর আগেও একই বিষয়ে একাধিকবার পোস্ট করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনপুলিশের ধারণা, এ ঘটনার জের ধরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জামাল উদ্দিন আহমদ আজ রোববার বলেন, রাজু নামের এক তরুণ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পুরো বিষয় তদন্ত করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। তবে নিহত রনি ও অভিযুক্ত রাজুর রাজনৈতিক পরিচয় পুলিশ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।
জানা যায়, ছুরিকাঘাতের পর রনিকে স্বজনেরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফটক তালাবদ্ধ ছিল। আধা ঘণ্টার বেশি সময় ডাকাডাকির পর তারা তালা ভাঙার চেষ্টা করেন। তখন একজন এসে ফটক খুলে দেন। পরে চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহত রনি যুবদল কর্মী কি না, তা নিশ্চিত হতে জেলা যুবদলের সভাপতি মোমিনুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি রনিকে সক্রিয় যুবদল কর্মী হিসেবে চেনেন বলে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন