ভিডিও বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

আগামী সপ্তাহে পুরোদমে বাজারে আসছে দিনাজপুরের লিচুররাজ্য খ্যাত বিরলের লিচু

আগামী সপ্তাহে পুরোদমে বাজারে আসছে দিনাজপুরের লিচুররাজ্য খ্যাত বিরলের লিচু

বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :  আগামী সপ্তাহে পুরোদমে বাজারে আসছে দিনাজপুরের লিচুরাজ্য খ্যাত বিরলের সুস্বাদু লিচু। দিনাজপুরের লিচু মানে বিরল উপজেলার মাধববাটীর লিচু সর্বপ্রথম পরিচয় করিয়ে দিয়েছে লিচুর জেলা হিসেবে এই দিনাজপুরকে।

জেলার ১৩টি উপজেলাতেই কম বেশি লিচুর আবাদ হলেও সারাদেশে স্বাদে ও রসে এখনও এগিয়ে বিরল উপজেলার লিচু। টকটকে লাল রঙ আর রসালো স্বাদের জন্য এ উপজেলার লিচুর কদর সর্বত্র। এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি লিচু চাষ হয় মাধববাটী, করলা, রবিপুর, রাজারামপুর, মহেশপুর, রাণীপুকুর, মঙ্গলপুর, ধামইড়, শহরগ্রাম, ভান্ডারাসহ আশপাশের এলাকায়। এ উপজেলায় লিচু চাষের জমির পরিমাণ ২ হাজার ৫৫৯ হেক্টর।

এসব চাষকৃত লিচুর মধ্যে মদ্রাজি, বোম্বাই, চায়না-টু, চায়না-থ্রি, হাঁড়িয়া, কাঁঠালী ও বেদানা জাতের লিচু অন্যতম। এর মধ্যে বেদানা লিচুর চাহিদা সব চেয়ে বেশি। মৌসুম এলেই এই উপজেলার লিচুর জন্য অপেক্ষায় থাকেন সবাই। আর মাত্র ৫ থেকে ৭ দিন পর পুরোদমে বাজারে আসবে এসব লিচু। ইতোমধ্যে গাছে গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে লাল টকটকে, গোলাপি ও সবুজ রঙের এসব লিচু। এবার লিচুর ফলন ভালো হওয়ায় খুশি লিচু চাষি ও বাগান মালিকরা।

আরও পড়ুন

তবে মৌসুমের শুরুতে তাপমাত্রা বেশি থাকায় গাছে অনেক গুটি নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে আগে থেকে লিচু গাছের গোড়ায় পানি ও লিচুর গায়ে পানি স্প্রে করায় এখন পর্যন্ত লিচু ভালো আছে। এব্যাপারে বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক মাঠে সকল ফসল এবং ফলের ক্ষেত্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে।

আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিপক্ক এবং খাবারের উপযোগী লিচু ভোক্তাগণ বাজারে পাবেন। শুধু দিনাজপুরে নয় আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরলের এই সুস্বাদু লিচু সরবরাহ করতে পারবো।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি

নির্বাচন নিয়ে পরাশক্তির খেলা শুরু হয়ে গেছে : গোলাম পরওয়ার

স্ত্রীকে খুন করে ১১ টুকরো করে পালালেন স্বামী

ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ তার নির্দেশনার জন্য : মির্জা ফখরুল

কমেছে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা

কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭৩.৬৩ শতাংশ