সীমান্তবাসীর মনে আতঙ্ক
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ভারতীয় ড্রোন!

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারীর বড়াইবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের পুশইনের ঘটনার উত্তেজনা কাটতে না কাটতেই এবার বাংলাদেশের আকাশে অবৈধভাবে পাঁচটি ড্রোন উড়িয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার সকালেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় ড্রোন উড়তে দেখে সীমান্ত এলাকার মানুষ। এনিয়ে সীমান্তবাসীর মনে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
স্থানীয় সাবেক এমপি রুহুল আমিন বলেন, ২০০১ সালে এপ্রিল মাসে বিএসএফ এই বড়াইবাড়ী এলাকায় আক্রমণ করে হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছিল। সে কারণে এখানকার মানুষ অজানা আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবার ভোরে পুশইন করার পাশাপাশি ড্রোন উড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। শুধু রাতের অন্ধকারে নয় আজ বুধবার সকালেও আমাদের অভ্যন্তরে ভারতীয় ড্রোন আসে। এটা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনের লঙ্ঘন। এলাকার মানুষকে সান্ত্বনা এবং সাহস যোগাতে আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় তিনটি ড্রোন বাংলাদেশের আকাশে উড়ছিল।
ড্রোন উড়ানোর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তের আন্তর্জাতিক ১০৫২নং পিলার এলাকা অতিক্রম করে রাত ১০টা ৪৩ মিনিটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় এক কিলোমিটার ভিতরে সাহেবের আলগা ও ডিগ্রিরচর এলাকার আকাশে ভারতের তিনটি ড্রোন সারিবদ্ধভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট উড়ছিল। এরপর সেগুলো সীমান্তবর্তী ভারতের শিশুমারা বিওপিতে চলে যায়। মঙ্গলবার ২৭ মে রাত পৌনে ১১টার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সাহেবের আলগা বিওপি সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়রা তিনটি ড্রোন উড়তে দেখতে পান। এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় ওই এলাকায় ভারতের ড্রোন উড়ছিল, পরে ড্রোনগুলো কয়েক বার চক্কর দিয়ে ভারতের শিশুমারা বিএসএফ ক্যাম্পে চলে যায়। ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের তিনটি ড্রোন উড়ছিল। লোকজন আমাকে মোবাইলে জানিয়েছে। পরে বিজিবি কর্তৃপক্ষকে ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি। তবে সীমান্তে ড্রোন উড়লেও পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাহেবের আলগা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য জানান, রাতে সীমান্তে ভারতের চারটি ড্রোন উড়েছে। এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমরা সীমান্তে নজরদারি রাখছি।
এছাড়াও একই দিনে রৌমারী সীমান্তের বড়াইবাড়ী সীমান্তে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সীমান্ত এলাকায় একটি ড্রোন উড়ছিল।
মন্তব্য করুন