ভিডিও শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

পারমাণবিক কর্মসূচিতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তেহরান

পারমাণবিক কর্মসূচিতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তেহরান, ছবি: সংগৃহীত।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের জব্দকৃত অর্থ ছেড়ে দেয় এবং একটি রাজনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে তেহেরানকে বেসামরিক ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অনুমতি দেয় তাহলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি হতে পারে। ইরানের দুজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছে।

পারমাণবিক কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় যুক্ত থাকা সূত্র বুধবার জানায়, যদি ওয়াশিংটন তেহেরানের শর্ত মেনে নেয় তাহলে একটি রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনও আলোচনা হয়নি। সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চুক্তি হয় তাহলে তেহেরান এক বছরের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত করবে এবং এ পর্যন্ত যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করা হয়েছে তার কিছু অংশ অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে অথবা পারমাণবিক জ্বালানি খাতে রূপান্তর করা হবে। 

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পঞ্চম ধাপের আলোচনা শেষে ওয়াশিংটনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইকভ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির মধ্যে সম্পর্ক রের্ড লাইনে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে ইউরেনিয়াম সংগ্রহ স্থগিত হতে পারে এই সমস্যা সমাধানের অন্যতম পথ। মার্কিন কর্মকর্তারা বার বার দাবি করে আসছেন, ২০১৫ সালে পারশক্তি ছয় দেশের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে যে চুক্তি হয়েছিল, যা ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের দিকে নিয়ে গেছে। সেখান থেকে অবশ্যই তাকে ফিরে আসতে হবে। কারণ এর মাধ্যমে তেহেরান পারমাণকি বোমা তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।  তবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি বার বার অস্বীকার করে আসছে যে, তাদের ইউরোনিয়ম সমৃদ্ধকরণ শুধু পারমাণবিক জ্বালানি খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের দাবিকে তারা তাদের সার্বভৌমত্বের হুমিক হিসেবে দেখছে। ওয়াশিংটনের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইরানি সূত্র দ্বারা প্রচারিত ওই প্রস্তাবটি এখনও আলোচনার টেবিলে আনা হয়নি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রয়টার্সের অনুরোধের প্রেক্ষিতেও কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। 

ইরানের আধা-সরকারি ফার্সি নিউজ সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাগেই রয়টার্সের এই প্রতিবেদন অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে কোনো সমঝোতা করা হবে না। ইরানি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি বা অবকাঠামো ভেঙে ফেলা অথবা পারমাণবিক স্থাপনা সিল করার বিষয়ে রাজি হবে না। তারা বলেন, ট্রাম্পের উচিত হবে প্রকাশ্যে ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ সংক্রান্ত সার্বভৌম অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে স্থগিত থাকা ইরানের তেল বিক্রির অর্থ ছেড়ে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া, যার মধ্যে কাতারে আটকে থাকা ৬ বিলিয়ন ডলারও রয়েছে।

আরও পড়ুন

ইরান এখনো সেই ৬ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যবহারের প্রবেশাধিকার পায়নি, যা ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় একটি মার্কিন-ইরান বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে অবমুক্ত করা হয়েছিল এবং কাতারের একটি ব্যাংকে রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় সূত্র জানায়, ‘তেহরানের চাওয়া হচ্ছে এই অর্থ কোনো শর্ত বা সীমাবদ্ধতা ছাড়াই সরাসরি ইরানে স্থানান্তরিত হোক। যদি এর জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হয়, তাহলে সেটাও করা উচিত। খবর : রয়টার্স 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৪ বছর পর জনসম্মুখে এটিএম আজহার : যা বললেন জামায়াত নেতারা | Daily Karatoa | Daily Karatoa

জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: খন্দকার মোশাররফ | BNP | Daily Karatoa

আমরা এখন আ-ন্দো-লনের দ্বিতীয় পর্যায়ে আছি: ড. মঈন | BNP NEWS | Daily Karatoa

সিরাজগঞ্জে নাতিকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে নানি গ্রেপ্তার

আবারও বাংলাদেশের আকাশে ভারতীয় ড্রোন

এবার গণতন্ত্রের বিজয় আদায় করতে হবে : গয়েশ্বর