গাজীপুরে কারখানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর

মফস্বল ডেস্ক: গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর নতুন বাজার এলাকায় জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানায় ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।এর জেরে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের সাঁজোয়া যান। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এই ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেলা ১১টা নাগাদ সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত আছেন। কারখানার ভেতরে অবস্থান করছেন বিপুল সংখ্যক শ্রমিক। কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দাবি, পুলিশ পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেখানে অবস্থান নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেছে। এসময় কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
অপরদিকে পুলিশ জানিয়েছে, শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার সময় এই হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে হয়েছে।কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় কারখানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মো. জাকির হোসেন (৩০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নেত্রকোণার বারহাট্রা উপজেলার বাদেচিরাম গ্রামের মুক্তার উদ্দিনের ছেলে। তিনি জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানায় চাকরি করতেন।
শ্রমিকদের দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইতে গিয়েছিলেন জাকির। কিন্তু ছুটি না দেওয়া ও তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার কারণে তিনি অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন। লাফিয়ে পড়ার পর তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ৯টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনবিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের একজন মামুন সাংবাদিককে বলেন, দুর্ব্যবহারের কারণে তাদের এক সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাই শ্রমিকরা আন্দোলন করছিল। এ সময় অতর্কিতভাবে তাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
কারখানার এজিএম জুবায়ের বাসার সাংবাদিককে বলেন, ওই শ্রমিক ছুটি চাইতে যাননি। বরং তিনি পারিবারিক কলহের কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। হতাশা থেকেই তিনি লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শিল্প পুলিশের গাজীপুরের শ্রীপুর সাব-জোনের ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ সাংবাদিককে বলেন, শ্রমিকরা আমাদের একটি এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে তাদের আমরা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন