প্রয়াত এমপি আনারের গাড়িটি ফেরত চায় মেয়ে

নিউজ ডেস্ক: কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের একটি বহুতল ভবনের পার্কিং জোন থেকে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের একটি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, কোটি টাকার ওই গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) প্রয়াত আনোয়ারুল আজীম আনারের। যাকে ভারতে নিয়ে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, “সাফিনা টাওয়ার ভবনের গ্যারেজ থেকে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে, সোমবার রাতে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের ৮তলা বিশিষ্ট সাফিনা টাওয়ার নামে ভবনের গ্যারেজে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়িটি পাওয়া যায়। গাড়ির ভেতর থেকে গাড়ি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কালো রংয়ের গাড়িটির নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো-ঘ ১২-৬০৬০’। কোটি টাকার গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে হত্যার শিকার প্রয়াত আনোয়ারুল আজীম আনারের বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুনএমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, “কুষ্টিয়াতে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের যেই গাড়ির সন্ধান মিলেছে, সেই গাড়িটি আমার বাবার। এই গাড়িতে করে আমিও আমার বাবার সঙ্গে চলাফেরা করেছি। এই গাড়িটি আমাদের। আমাদের গাড়ি আমাদেরকে ফেরত দেওয়া হোক। বাবার গাড়ি আমরা ফেরত চাই।”
ডরিন আরও বলেন, “আমার বাবাকে হত্যার পর থেকে আমাদের ওই গাড়িটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। বিলাসবহুল গাড়িটি কারো কাছে বিক্রি করিনি আমরা। গাড়ি ফেরত পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাই। অক্ষত অবস্থায় আমরা আমাদের গাড়ি ফেরত পেতে চাই।”
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ মে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান তৎকালীন এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। ১৬ মে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। ২২ মে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর শোনা যায়। তবে এখন পর্যন্ত তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি ভারতীয় পুলিশ।
পরে বাংলাদেশ পুলিশ জানায়, এমপি আনারকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করা হয়। পরে সেগুলো বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয় খুনিরা।
মন্তব্য করুন