আবারও মাঝ আকাশে বিপদের মুখে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তিন সপ্তাহ হলো লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার। ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে প্রাণ গেল ২৪১ জনেরই। আর তারপর থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান একের পরে এক বিভ্রাটের সম্মুখীন হচ্ছে। তীব্র সমালোচনাও হয়েছে এই সংস্থার বিমান নিয়ে। এবার মাঝ আকাশে বিপদের মুখে পড়েছে দিল্লি থেকে ভিয়েনাগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান।
জানা গেছে, আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার মাত্র দু’দিন পরই মাঝ আকাশে যান্ত্রিক গোলোযোগ দেখা গিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে। দিল্লি থেকে ভিয়েনা যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে হঠাৎই বিগড়ে যায় বিমানটি। টেক-অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৯০০ মিটার নিচে নেমে আসে।
জানা গেছে, গত ১৪ জুন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাত ২টা ৫৬ মিনিটে ওড়ে এআই-১৮৭ নম্বর ফ্লাইটটি, যা একটি বোয়িং ৭৭৭। নির্ধারিত সময়মতো, নয় ঘণ্টা আট মিনিট পর ভিয়েনা বিমানবন্দরে অবতরণ করলেও উড্ডয়নের শুরুতেই ঘটে এই বিপজ্জনক ঘটনা। টেক-অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বিমানটি। ককপিটে বাজতে শুরু করে স্টল ও গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি অ্যালার্ট। একাধিক বার শোনা যায় ‘ডোন্ট সিঙ্ক’ সতর্কবার্তা।
তবে এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাইলটরা দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছান।
এ ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) পুরো ঘটনা জানানো হয়। বিমানের রেকডার্স থেকে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করে তারা। এরই মধ্যে জানানো হল যতদিন না পর্যন্ত তদন্তের রিপোর্ট সম্পূর্ণ আসছে, ততদিন ওই বিমানের ককপিটে থাকা দু’জন পাইলট কোনো বিমান ওড়াতে পারবেন না।
আরও পড়ুনএয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দুই পাইলটকে ফ্লাইট ডিউটি থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়। পাশাপাশি বিমানটি যে হোস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে সেখানকার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে, বিমান দুর্ঘটনার পর বোয়িংয়ের বিমানগুলি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিজিসিএ। একাধিক বিমানবন্দরে বোয়িং বিমানগুলোর পরীক্ষা করা হয়। জানা যায়, সেই অডিটে বেশ কিছু বিমানে প্রযুক্তিগত ত্রুটি সামনে এসেছে। সেই বিষয়গুলো ঠিক করে তবেই বিমানগুলোকে টেক-অফ করার অনুমতি দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন