ভিডিও শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মায়ের অভিযোগে মাদকাসক্ত ছেলের ৬ মাসের কারাদণ্ড দিলো আদালত

মায়ের অভিযোগে মাদকাসক্ত ছেলের ৬ মাসের কারাদণ্ড

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মিলন মিয়া নামে এক মাদকাসক্ত ছেলেকে তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন তাকে আটক করে এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মিলন মিয়া আমলাপাড়া এলাকার রাজ্জাক মিয়া ও মুজেদা বেগম দম্পতির ছেলে।

তার মা মুজেদা বেগম এক সপ্তাহ আগে ভৈরব পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে তিনি জানান, ছেলে মিলন মিয়া নিয়মিত মাদক সেবন করেন এবং মাদকের টাকার জন্য তাকে মারধর করেন, এমনকি স্থানীয়দের বাড়িতে চুরিও করেন। ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

আরও পড়ুন

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শবনম শারমিন ও থানা পুলিশের সহায়তায় মিলন মিয়াকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী মা মুজেদা বেগম বলেন, "আমার ছেলে আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছে। সে নিয়মিত মাদক সেবন করে। মাদকের টাকার জন্য আমাকে মারতে আসে। এমনকি মারধরও করে। মাদকের টাকা না পেলে সে স্থানীয়দের বাসা বাড়িতে চুরি করে। প্রতিনিয়ত এমন অভিযোগ পেতে পেতে আমি অতিষ্ঠ হয়ে স্যারের শরণাপন্ন হয়েছি। আমি তার বিচার চাই।"

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন জানান, "অসহায় মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তার ছেলে মিলন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছে। তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মায়ের অভিযোগে সত্যতা পাওয়ার পর তার ছেলেকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।"

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবি থেকে ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা টুইন সিটিজ, স্বপ্ন পূরণ প্রতীতি সাহা'র

চট্টগ্রামের প্রবীণ আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা কছির উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি:  বগুড়ার আদমদীঘিতে একজনের এক মাসের কারাদন্ড

ঝিনাইদহে সরকারি কর্মকর্তার কাছে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নামে চাঁদা দাবি

বগুড়ার নন্দীগ্রামে অসুস্থ দম্পতির পাশে ইউএনও

বগুড়া প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর