বগুড়ার চেলোপাড়া-চন্দনবাইশা সড়কের কয়েক মিটার ভাঙা অংশে দুর্ভোগের শিকার লক্ষাধিক মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের চেলোপাড়া থেকে চন্দনবাইশা সড়ক। পূর্ব বগুড়ার কয়েক হাজার মানুষসহ সারিয়াকান্দি ও গাবতলী এই দুই উপজেলার বিশাল একটি অংশের মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করেন। অথচ সামান্য ২০ থেকে ২৫ মিটার ভাঙা অংশের ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কটিতে চলাচলকারী লক্ষাধিক মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চেলোপাড়া থেকে চন্দনবাইশা সড়কটি বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের।
কাজির বাড়ি মোড়ের কিছুটা পূর্ব থেকে চেলোপাড়া পর্যন্ত বগুড়া পৌরসভার। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কটি ঢালাই করা হলেও পৌরসভার অংশের অবস্থা খুবই নাজুক। ওই অংশ ভাঙতে ভাঙতে এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, বড় বড় গর্তে পানি জমে তা ফরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ওই সামান্য অংশেই বেশকয়েকটি গর্তে হাঁটু পানি জমে যানবাহন আটকে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
ফতেহ আলী ব্রিজ সম্পূর্ণ চালু না হওয়ায় এই সড়ক এখন পূর্ব বগুড়া মানুষের অন্যতম যাতায়াতের মাধ্যম। কারণ, সড়কটি ব্যবহার করে এসপি ব্রিজ হয়ে বগুড়ার মূল শহরের প্রবেশ করছে মানুষ। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে পণ্যবাহী গাড়ি এবং রোগী বহনে রাস্তাটি সব সময় ব্যবহার হলেও ওই ভাঙা অংশের চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুনএছাড়াও কাজির বাড়ি মোড় থেকে চেলোপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় কোয়াটার কিলোমিটার রাস্তাটিও ভেঙে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফতেহ আলী ব্রিজ দিয়ে মানুষের চলাচল কিছুটা বাড়ায় বেড়েছে রাস্তটির গুরুত্ব। অথচ ভাঙাচোড়া রাস্তায় মানুষের কষ্টের শেষ নেই। দিনের আলোয় গর্ত বেঁচে চললেও রাতের আঁধারে গর্তে পানি জমে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানতে চাইলে বগুড়া পৌরসভার প্রশাসক মাসুম আলী বেগ বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না, অতিদ্রুতই সড়কটির ভাঙা অংশ সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন