বৃহস্পতিবার এসএসসির ফল , জানা যাবে যেভাবে

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামীকাল প্রকাশ করা হবে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় ফল প্রকাশ করা হবে। তবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মতো এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলও কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশ করা হবে না। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ১০ জুলাই বেলা দুইটায় শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষাকেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এসএমএসের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
ফল জানার উপায়:
১. অনলাইনে: শিক্ষার্থীরা www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার সন, বোর্ডের নাম, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল জানতে পারবে। ২. এসএমএসের মাধ্যমে: মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে— SSC<স্পেস>বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর<স্পেস>রোল নম্বর<স্পেস>সাল উদাহরণ: SSC DHA 123456 2025 এবং পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে।
৩. প্রি-রেজিস্ট্রেশন (মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য): এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে হলে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রি-রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম হলো: Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে MAD লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর এবং সাল লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: Dakhil MAD 123456 2025। ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই প্রি-রেজিস্টার করা নম্বরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফল পৌঁছে যাবে।
৪. কারিগরি বোর্ডের ফল: কারিগরি বোর্ডের ফল জানতে হলে টাইপ করতে হবে: SSC স্পেস TEC স্পেস রোল নম্বর স্পেস 2025 এবং পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে।
আরও পড়ুন৫. প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফল: প্রতিষ্ঠানের EIIN নম্বর ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফল ডাউনলোড করা যাবে।
এদিকে, ফল প্রকাশের পর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সময়ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে। ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত এ জন্য আবেদন নেওয়া হবে। আবেদনপদ্ধতি শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং টেলিটক বাংলাদেশের দেওয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যাবে।
গত ১০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১৩ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ থেকে ২২ মে মধ্যে হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিল। তবে ৩০ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী এক বা একাধিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন