প্রতিবেশী দাদার লালসার শিকার ৭ বছরের শিশু

শেরপুরে প্রতিবেশী দাদার লালসার শিকার হয়েছে ৭ বছরের এক শিশু। ভুক্তভোগী শিশু ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
আজ বুধবার (৯ জুলাই) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অভিযুক্তকে গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইদুল আলম।
আরও পড়ুনঅভিযুক্ত শমেজ উদ্দিন বইট্টা (৬৫) শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীবাগ ভিটাকান্দা গ্রামের প্রয়াত অহেদ আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগীর স্বজন ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৬ জুলাই বিকালে শমেজ উদ্দিন বইট্টা শিশুটিকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরর্বপূক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শিশুটিকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কিন্তু ৮ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই শিশুর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে শিশুটির কান্নাকাটিতে স্বজনরা বিস্তারিত জানতে পারে এবং চিকিৎসার জন্য দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শিশুটির বড় ভাই জানান, আমার বোনকে দুই বছর বয়স রেখে বাবা মারা যান। আমার বোনের এ সর্বনাশের জন্য বইট্টার বিচার চাই। এ ঘটনায় ৮ জুলাই রাতে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পরে ৮ জুলাই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর সদর থানার এসআই মানিক চন্দ্র দে জানান, শিশুটিকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর শিশুটির ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার গ্রেফতারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন