বগুড়ায় পরকীয়ার বলি গৃহবধূ ববি: ঢাকা থেকে প্রেমিকাসহ ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার আলোচিত গৃহবধূ ববি খাতুন (২২) হত্যাকান্ডের মূলহোতা স্বামী মো. রোহান (২৬) ও তার পরকীয়া প্রেমিকা বেলি বেগমকে (২৪) ঢাকার বসুন্ধারা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব-১২ সিপিএসসি বগুড়া এবং র্যাব-৪ সিপিসি-২ সাভারের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
র্যাব-১২ সিপিএসসি বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ সইকৃত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ার মৃত বাবু মিয়ার মেয়ে ববি খাতুন (২২) জহরুল নগরে হাফিজের মোড়ে ইয়াদদ আলী খানের ভাড়া বাসার নিচতলায় স্বামী রোহানের (২৬) সাথে বসবাস করতেন। পরবর্তীতে তার স্বামী রোহন ধৃত বেলী বেগমের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে গত ২৫ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্বামী রোহান সহ অন্যান্য আসামিদের কুপ্ররোচনায় গৃহবধূ ববি খাতুনের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ববি খাতুন যৌতুকের টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তার স্বামী রোহান ও তার সহযোগী আসামিরা তাকে মারপিট করতে থাকে। মারপিটের একপর্যায়ে রোহান তার স্ত্রী ববি খাতুনকে পেটে ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন আসে। এসময় রোহান ও সহযোগী আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহবধূ ববি খাতুনকে উদ্ধার করে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যার ঘটনায় তার মা বাদি হয়ে বগুড়া সদর থানায় রোহানসহ ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-১২ সিপিএসপি বগুড়া আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, ঢাকার আশুলিয়া থানার বসুন্ধরা টেক এলাকায় হত্যাকান্ডের মূলহোতা প্রধান আসামি রোহান, এবং ৪নং আসামি বেলী বেগম (২৪) অবস্থান করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে অধিনায়ক র্যাব-১২ এর দিক নির্দেশনায় গত বুধবার রাত ৭টা ৩৫ মিনিটে র্যাব-১২ সিপিএসসি বগুড়া এবং র্যাব-৪ সিপিসি-২ সাভার এর যৌথ আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর ইন্ট উইংয়ের সহযোগিতায় ঢাকার আশুলিয়া থানার বসুন্ধরা টেক এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে অভিযানকালে প্রধান আসামি রোহান ও তার পরকীয়া প্রেমিকা বেলি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুনরোহান শহরের উত্তর চেলোপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে এবং বেলী বেগম, একই এলাকার বেল্লাল হোসেনের মেয়ে। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছে থেকে তিনটি মোবাইল ফোন এবং ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন