সোনাতলায় ঝোপ-ঝাড়ে সড়ক সংকুচিত যাত্রী-পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল হুমকিতে

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলার একটি সড়ক দু’পাশের পুকুর গুলোর অব্যাহত ভাঙ্গন ও ঝোপ-ঝাড়ের কারনে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে ওই সড়কে সকল ধরনের যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল হুমকিতে।
উপজেলা সদর থেকে ১২-১৩ কিলোমিটার দক্ষিণে হাট করমজা এলাকা। হাট করমজা বাজার থেকে ধলিরচর গ্রাম পর্যন্ত সড়কটির দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। ওই ২ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে রয়েছে অসংখ্য পুকুর। ফলে সড়কটি খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটির বেশিরভাগ জায়গায় ঝোঁপ-ঝাঁড়ে সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। দিনের বেলায় পায়ে হেঁটে কোন রকমে চলাচল করা গেলেও রাতের অন্ধকারে ওই সড়কে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এবিষয়ে স্থানীয় হাট করমজা এলাকার ডা. আলী রেজা তোতা, পূর্ব করমজা গ্রামের আইয়ুব হোসেন নান্টু, আমির উদ্দিন, শহীদ গোলাম, শাহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান মাস্টার বলেন, এই এলাকার ৮৫ ভাগ মানুষ সরাসরি কৃষিকাজের সাথে জড়িত। কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এই সড়ক দিয়ে বিভিন্ন হাটে-বাজারে নিয়ে যায়। বেশ কিছুদিন যাবত সড়কটির বেহাল দশার কারণে কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসল এই সড়ক দিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না।
আরও পড়ুনএবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, ওই সড়কের দু’পাশে অসংখ্য পুকুর ও বসতবাড়ি থাকায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে সড়কটি যান চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সড়কের তুলনায় বসতবাড়ি উঁচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যার ফলে সড়কটি খানা-খন্দকে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা সড়কের দু’পাশের ঝোপ-ঝাড় কেটে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে। ঝোপ-ঝাড়ের কারণে সড়কটি অনেক স্থানে সংকুচিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন