ভিডিও বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া হাসপাতালে ২৮ পদের মধ্যে ২২ পদ শূন্য

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া হাসপাতালে ২৮ পদের মধ্যে ২২ পদ শূন্য

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসারের অভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহিঃবিভাগের রোগীরা। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বেলা ১১ টায় তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগ ও জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, কোন মেডিকেল অফিসার চেম্বারে বসেনি।

শিশু বিভাগে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নজরুল ইসলাম, ডেন্টাল বিভাগে মেডিকেল অফিসার (ডেন্টাল সার্জন) ডা. মো. সিকান্দার আবু জাফর, ডেন্টাল সহকারী আনোয়ার হোসেন ডেন্টাল রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দেন। জুনিয়র কনসালটেন্ড গাইনী ডা. আফিফা জান্নাত আফি ও একজন মেডিকেল অফিসার অপারেশন থিয়েটার (ওটি) বিভাগে।

আন্তঃবিভাগে ডা. মো. শাকিল রহমান ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শপত্র দিচ্ছে। এছাড়া জরুরী বিভাগে ডিএমএফ সনদধারী বহিরাগত একজন ছেলে ও মেয়েকে রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দিতে দেখা গেছে।   অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ১০ জন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ১০ জন এবং সাতটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কল্যাণ সাবসেন্টারে ৭ জন ও ইউএইচএফপিও এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)সহ মোট ২৮ চিকিৎসক থাকার কথা।

কিন্তু কয়েক বছর ধরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পদটি শূন্য। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. আশরাফুল ইসলাম বদলী হওয়ায় উক্ত পদটি শূন্য রয়েছে। এছাড়া ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ১২ জন মেডিকেল অফিসারে পদশূন্য। বর্তমানে হাসপাতালে ৫ জন মেডিকেল অফিসার ও ১ জন গাইনী কনসালটেন্ড থাকলেও ০২জন মেডিলে অফিসার কর্মস্থলে ঠিকমত আসেন না।

দেশের সর্ব উত্তরের তেঁতুলিয়া উপজেলার প্রায় দুই লাখ জনসাধারণের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যানুযায়ী হাসপাতালটি ২০০৫ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। প্রতিদিন গড়ে বহিঃর্বিভাগে প্রায় পাঁচ শতাধিক এবং জরুরীবিভাগে দেড় শতাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন।

আরও পড়ুন

তাদের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী আন্তঃবিভাগে ভর্তি হন। হাসপাতালে বেশি ভাগ মেডিকেল অফিসার ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় বিপুল সংখ্যক জনসাধারণকে যথাযথ চিকিৎসেবা প্রদান করা সম্ভব হয় না।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শাকিল রহমান বলেন,  বহিঃবিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার এখনো কর্মস্থলে আসেনি। মেডিকেল অফিসার সংকটের কারণে জরুরী বিভাগে দু’জন ডিএমএফ সহযোগী রাখা হয়েছে। খুব জটিল রোগী আসলে আন্তঃবিভাগে রোগীকে রেখে আমাকেই যেতে হয়।

এখানে মেডিকেল অফিসার ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন করা হলেও দুই-তিন মাসের ব্যবধানে বদলী নিয়ে চলে যান। যে কারণে উপজেলার প্রায় দুই লাখ জনসাধারণকে যথাযথ চিকিৎসা প্রদানে হিমসিম খেতে হয়। 
 উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত), জুনিয়র গাইনী কনসালটেন্ড ডা: আফিফা জান্নান আফি বলেন, পত্রিকায় লিখে কি লাভ হবে। আমি তেমন তথ্যাদি জানিনা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের প্রশ্নে সবাই একমত: আইন উপদেষ্টা

হাসপাতালে আহতদের দেখতে গেলেন বিমানবাহিনী প্রধান

বগুড়ার শাজাহানপুরে বহিরাগতদের মারপিটে গোহাইল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহত

সিরাজগঞ্জে ৫০০ বছরের পুরানো জয়সাগর’ দিঘীটি ঐতিহ্য হারাচ্ছে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে হ্যাকার চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

বগুড়ায় তিন বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন