পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোর মাঠে ঘোড়ার গাড়িতে উঠে বেড়ানো পর্যটকদের মন কেড়েছে

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের পর্যটন নগরী তেঁতুলিয়ার ডাকবাংলোর মাঠে ঘোড়ার গাড়িতে উঠে বেড়ানো পর্যটকদের মন কেড়েছে ভিন্নমাত্রার খুশির আমেজ। গত শুক্রবার বিকেলে ডাকবাংলোয় কথায় হয়, রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবিদ, জুলি, সুমি, সাদেক ও নয়নের সঙ্গে।
তারা বলেন, কয়েক বন্ধু মিলে মাইক্রোবাসযোগে তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট, সমতলে চা বাগান ও মহানন্দার পাথর কুয়াড়ি ঘুরে দেখেছে। কিন্তু পিকনিক কর্নারে এসে ঘোড়া গাড়িতে চড়তে পারায় তাদের মনে ভিন্নমাত্রার আনন্দ যোগ হয়েছে।
তাদের মতে, পর্যটন নগরী তেঁতুলিয়ায় সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে পানির ফোয়ারা, দোলনা, নাগরদোলাসহ ভিন্নধর্মী এরকম কিছু তৈরি করা হলে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে। ডাকবাংলোর মাঠে পর্যটকদের ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে ঘুরে দেখান মকবুল হোসেন।
তিনি বলেন, তার বাড়ি তেঁতুলিয়া সদরের সীমান্তঘেঁষা সারিয়ালজোত গ্রামে। তিনি পেশায় ছিলেন একজন হোটেল শ্রমিক। ২০২২ সালে তিনি হোটেল শ্রমিকের কাজ ছেড়ে দেন। ২০২৩ সালে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে দুই বছর ঘোড়া গাড়িীচালানোর প্রশিক্ষণ নেন।
আরও পড়ুনদীর্ঘ কয়েক বছরে জমানো সঞ্চয়ের টাকায় দেবীগঞ্জে প্রশিক্ষণ শেষে ঘোড়া জসু ওরফে ঘোড়া ব্যবসায়ীর কাছে ১৬ হাজার টাকায় একটি ঘোড়া এবং ৮ হাজার টাকায় পুরাতন গাড়ি কেনেন।
পরবর্তীতে ওই ঘোড়াগাড়ি তেঁতুলিয়ায় এনে ডাকবাংলোর আশপাশে স্থানীয় ও পর্যটকদের নিয়ে বেড়ান। এতে সারাদিনে তার পাঁচশ’ থেকে সাতশ’ টাকায় আয় হয়। ঘোড়ার খাবার কিনে বাকি টাকা দিয়ে পরিবারের পাঁচ সদস্যের সংসার চালান।
বর্তমানে এই গাড়িতে ৪ থেকে ৫ জন পর্যটক নিয়ে পিকনিক কর্নারের চারপাশে দুটি করে পাক ঘুরিয়ে প্রতিজনের কাছে ২০ টাকা করে নেন। বিভিন্ন উৎসব ও ঈদের দিনে তার এক থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়। এখন বর্ষাকাল তেমন পর্যটকের সমাগম নেই।
মন্তব্য করুন