শহীদ পরিবারের জন্য আবাসন ও উপযুক্ত সন্তানদের চাকরির চেষ্টা করা হবে : ডিসি বগুড়া

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেছেন, শুধু কোটা দাবি নয়, মেধার ভিত্তিতে অধিকারের দাবিতেই আন্দোলন করে ছাত্ররা। বগুড়ার শহীদ পরিবারে যাদের আবাসনের সমস্যা রয়েছে তাদের সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা এবং যাদের উপযুক্ত সন্তান রয়েছে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করা হবে।
তিনি আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ৫ আগস্ট বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় শহীদ টিটু মিলনায়তনে জুলাই’২৪ গণঅভ্যুত্থান দিবসে জুলাই শহীদ ও যোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সম্মিলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা, জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোফাখ্খারুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল হক, বগুড়ার শহীদ পরিবারের সদস্য শহীদ রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান, আহত সম্মুখ সারির যোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, ও জুলাই যোদ্ধা মো: রনি প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, আজকের এই দিনটি দেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন। গত এক বছর আগে ২০২৪ এর জুলাই মাসে ছাত্ররা সরকারি চাকরিতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ এবং কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এটি প্রকৃতপক্ষে কোটা আন্দোলন হলেও বাস্তবে ছিল দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ চালু হওয়া একটি দলের মতাদর্শ না হলে চাকরি জুটতো না।
আরও পড়ুনসে সময় সরকারি চাকরি মানে সোনার হরিণ ছিল। অনেকে মেধার স্বাক্ষর রাখলেও পিএসসি থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও চাকরিতে যোগদান করতে পারেননি। শুধুমাত্র কোটা না, সঠিক যোগ্যতার মূল্যায়নের জন্য ছাত্রদের এই আন্দোলন। কিন্তু তৎকালীন সরকার সেই আন্দোলনে ছাত্রদের উপর নির্মমভাবে গুলি চালায় এবং তাদেরকে হত্যা করে।
সন্তানদের প্রতি এই নির্মমতা দেখে তাদের পিতামাতাসহ সাধারণ মানুষ আর ঠিক থাকতে পারেনি। তারাও তাদের সাথে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। এতে আন্দোলন পরিণত লাভ করে। যার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন সরকার প্রধান আজকের এই দিনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এর আগে সকালে বগুড়া শহরের সাতমাথায় নব নির্মিত জুলাই শহীদ স্কৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল, শহর জামায়াতের আমীর আবিদুর রহমান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন