ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে অস্থায়ী ৩৫ কর্মী ছাঁটাই

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে একসাথে ছাঁটাই করা হয়েছে ৩৫ জন কর্মী। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়োগ পান ৬৯ জন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সারমী ট্রেডার্স নিয়োগ দেয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী, ওয়ার্ডবয়, বাবুর্চিসহ বিভিন্ন পদে।
প্রথম ধাপে চাকরি হারান ৯ জন। সম্প্রতি দ্বিতীয় ধাপে, ৩ আগস্ট থেকে ছাঁটাই করা হয় আরও ৩৫ জনকে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানায়, গত ২৩ জুন স্থানীয় সাংবাদিক, ছাত্র সংগঠনের নেতা ও রাজনৈতিক নেতারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে অভিযোগ করেছেন, স্বৈরাচারী সরকারের প্রাক্তন এমপি রমেশচন্দ্র সেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাদের নিয়োগ হয়েছিল, তাদের নিয়োগ বাতিলের জন্য।
সেই প্রেক্ষিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলে আউটসোর্সিংয়ে ৩৫ জনের নিয়োগ বাতিল করে প্রতিষ্ঠানটি। রিনা রানী নামে এক কর্মী বলেন, আমি কোনো দলের লোক না। আমাকে এমপি না, হাসপাতালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক ডা. চপল নিয়োগ দিয়েছিলেন। এখন কয়, তুমি আর চাকরিতে নাই। দুই মাসের বেতনও পাইনি।
আরও পড়ুনস্টোর সহকারী হিসেবে কর্মরত সুফল কুমার বলেন, বাবা অসুস্থ। চিকিৎসা করাব কী দিয়ে? হঠাৎ চাকরি যাবে, ভাবিনি। আমি রাজনীতি করি না। ছাঁটাই হওয়া শ্যামল চন্দ্র, জহিরুল ইসলাম, নরেশ চন্দ্র, বন্যা রানী ও কাজল মিয়া বলেন, কোনো রাজনৈতিক প্যাডে নয়, আমরা কাজ করেই চাকরি পেয়েছিলাম। নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, কিছু অভিযোগ এসেছিল। বিষয়টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছি। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সারমী ট্রেডার্সের মালিক আশরাফুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন