নওগাঁর দুই সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ

ধামইরহাট ও সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাট ও সাপাহার সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় ১৪ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। গতকাল শুক্রবার ভোরে উপজেলার কালুপাড়া সীমান্তবর্তী সাতআনা গ্রাম থেকে তাদের আটক করে বিজিবি’র সদস্যরা।
বিজিবি জানায়, উপজেলার কালুপাড়া বিওপি’র টহল দল শুক্রবার ভোরে সীমান্ত মেইন পিলার ২৭১ এর সাব পিলার এক থেকে আনুমানিক ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতআনা গ্রামের একটি আমবাগান থেকে বাংলাদেশী নাগরিক ১৪ জনকে আটক করা হয়।
তারা হলেন-বাদশা মিয়া (২০), ইমরান গাজী (৩৪), নাজমুল হাসান (২৪), বাবু শিকদার (১৭), নুপুর খানম (২২), মুনিয়া খাতুন (১৮), রাবেয়া শেখ (২৮), প্রিয়া শিকদার (২৬), ববিতা সিকদার (৩৫), দুলি বেগম (৪০), শিশু সুমা মোল্লা (৪), রায়হান মোল্লা (৪), আশিকা (৪) ও ফাতেমা শেখ (৭)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটককৃতদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল ও যাশোরের বিভিন্ন এলাকার।
তারা কয়েক বছর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের মুম্বাই শহরে অবৈধভাবে অবস্থান করেন। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ রাজমিস্ত্রী এবং সাতজন মহিলা বাসাবাড়িতে কাজ করছিলেন।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে ধামুইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর জানান, বিজিবি’র হস্তান্তর করা ওই ১৪ নারী-পুরুষকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের বাংলাদেশী বলে দাবি করেছেন। তাদের দাবি করা পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া এলাকা দিয়ে চারজনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ২৪৬/২ এস থেকে আনুমানিক ৮শ’ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রসুলপুর গ্রামের জামে মসজিদের কাছ থেকে ১৬ বিজিবি টহল দলের সদস্যরা তাদের আটক করে সাপাহার থানায় সোপর্দ করে। তারা হলেন-নড়াইলের উথলি গ্রামের ইমদাদুল হকের স্ত্রী হেনা খাতুন (৩৮) এবং একই জেলার চাঁনপুর গ্রামের বালাম শিকদারের স্ত্রী রুপালী খাতুন (৩৫) তার সন্তান চাঁদনী (৮) ও রমজান (৩)।
সাপাহার থানার ওসি আব্দুল আজিজ বলেন, বিজিবি’র হস্তান্তর করা ওই চারজনের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী। এদের মধ্যে দুইজনই শিশু। তারা চারজনই একই পরিবারের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তাদের বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়। তাদের দাবি করা পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন