বরিশালে ভুয়া জন্মসনদে বিয়ের চেষ্টা, উভয় পক্ষকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

বয়স বাড়িয়ে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে অষ্টম শ্রেণির ১৬ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিয়ের পিঁড়িতে বসানোর চেষ্টার সময় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে বর-কনে উভয় পক্ষকে জরিমানার ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড় দুলালী গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান। এ সময় বর ও কনের বাবাকে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড় দুলালী গ্রামের মোস্তফা খোন্দকারের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৬ বছরের মেয়ের সঙ্গে একই উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের হারুন মৃধার ছেলে অহেদ হোসেনের বিয়ের দিন ধার্য ছিল বুধবার। এ উপলক্ষে কনের বাড়িতে বিয়ের সকল প্রস্তুতি চলছিল এবং বর-কনে পক্ষের আত্মীয়স্বজনও উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার আগেই খবর পেয়ে কনের বাড়িতে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল। বাল্যবিয়ের অভিযোগে তারা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনউপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান বলেন, কনের পরিবার পাশ্ববর্তী উপজেলার একটি ইউনিয়ন থেকে মেয়ের বয়স ১৯ বছর উল্লেখ করে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে দেখায়। সন্দেহ হলে কনের স্কুল ও স্থানীয় ইউনিয়ন অফিস থেকে প্রকৃত জন্মসনদ ও বয়স সংক্রান্ত নথিপত্র তলব করা হয়। যাচাই বাছাই শেষে নিশ্চিত হওয়া যায় যে কনের প্রকৃত বয়স ১৬ বছর। এ সময় ভুয়া জন্মসনদ তৈরি ও বাল্যবিয়েতে সহযোগিতার দায় স্বীকার করায় বর ও কনের বাবাকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এ বিয়ে সম্পন্ন না করার মুচলেকা নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান।
মন্তব্য করুন