ঝালকাঠিতে ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজনের কারাদণ্ড

ঝালকাঠিতে ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আমিনুল ইসলাম এ রায় দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর ঝালকাঠি ইসলামী ব্যাংকে ডাকাতি সংঘটিত হয়। তৎকালীন ব্যবস্থাপক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। সদর থানার এসআই আ. রহিম মামলাটি তদন্ত করে ১১জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন। মামলার বিচারকার্য চলমান অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়। সবুজ নামের এক আসামি ঘটনার পর থেকে পলাতক। ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে শামসুল হক নামের এক আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আল আমিন, তাকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আল আমিন মোড়লগঞ্জ উপজেলার জিওধারা এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুননুর ইসলাম খলিফাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মো. শামসুল খলিফার ছেলে।
মোতালেব মোল্লাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনি নলছিটি উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত মোকতার মোল্লার ছেলে। সেন্টু মাঝিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনি নলছিটি উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আনসার মাঝির ছেলে। আমেনা বেগমকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনি মোড়লগঞ্জ উপজেলার জিওধারা গ্রামের আল আমিন সিকদারের স্ত্রী।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর বাবুল। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন কবীর, অ্যাডভোকেট ফয়সাল হোসেন খান ও অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান।
মন্তব্য করুন