বগুড়ার সোনাতলায় ফল ও পেঁপে চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : সোনাতলায় সবজিজাতীয় ফসল পেঁপে চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। এমনকি সোনাতলায় উৎপাদিত পেঁপে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় খরিপ-১ জাতীয় পেঁপে চাষ হচ্ছে বেশি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পেঁপে চাষে এ উপজেলায় দিন দিন কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। অন্য ফসলের চেয়ে সবজিজাতীয় এই ফসল উৎপাদনে খরচ কম, লাভ বেশি, তাই এ ফসলের প্রতি কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে।
গত বছর ওই উপজেলায় এক হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ করা হয়। এবার ওই উপজেলায় প্রায় দুই হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর প্রায় ৯শ’ হেক্টর জমিতে বেশি পেঁপে চাষ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ওই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষকদের পেঁপে বাগানে পরিচর্যা করতে দেখা গেছে। এসময় স্থানীয় কৃষকরা জানান, অন্য ফসলের চেয়ে সবজিজাতীয় এই ফসলে উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি। এছাড়াও পারিবারিক চাহিদা পূরণ করে বাড়তি অর্থ উপার্জন করা যায় এই ফসল থেকে।
আরও পড়ুনঅপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সোনাতলায় উৎপাদিত পেঁপে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে ব্যবসায়ীরা ট্রাক ও ট্রেনযোগে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিকেজি পেঁপে খুচরা মূল্যে ২০-২৫ টাকা দরে হাটে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পাইকারি বাজারে প্রতি মণ পেঁপে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, পেঁপে চারা রোপণের দেড় থেকে দুই মাসের মাথায় পেঁপে তোলা সম্ভব হয়।
পেঁপে কাঁচা অবস্থায় সবজি এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসেবে খাওয়া ও বিক্রি করা যায়। কৃষক দিন দিন এই ফসলের প্রতি ঝুঁকছেন। কারণ, এই ফসলে উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি।
মন্তব্য করুন