নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:১৬ দুপুর
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাবির শেখ মুজিব হলে ৫০৪টি ফ্যান স্থাপন কার্যক্রম শুরু

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাবির শেখ মুজিব হলে ৫০৪টি ফ্যান স্থাপন কার্যক্রম শুরু
ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ভবনে ফ্যান স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ ( ২০ সেপ্টেম্বর) শনিবার দুপুরে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান হল প্রশাসন ও ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রথম ধাপে ১১ তলার ১১০১ নম্বর রুমে ফ্যান বসানোর মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের সূচনা হয়। ধাপে ধাপে ভবনের মোট ২৫২টি রুমে ৫০৪টি ফ্যান বসানো হবে।
জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শেখ মুজিব হল সংসদের ভিপি মুসলিমুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী নতুন ভবনে ফ্যান স্থাপনের দাবি জানান। এরই ধারাবাহিকতায় হল প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবনের জন্য ফ্যান বরাদ্দের আবেদন করে। পাশাপাশি পুরাতন ভবনের জন্য ফ্যান, কাঠের খাট, চেয়ার, টেবিল, লকার ও টেবিল ল্যাম্পসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র বরাদ্দের আবেদন করা হয়। ইতোমধ্যে পুরাতন ভবনের জন্য ১০০টি চেয়ার, ১০০টি টেবিল ও ৫০টি খাট অনুমোদিত হয়েছে। অন্যান্য কাজও পর্যায়ক্রমে চলছে।
হল সংসদের এজিএস মুশফিক তাজওয়ার মাহির বলেন, ফ্যানের অভাবে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করছে। যদিও সিন্ডিকেটের অনুমোদনের অপেক্ষা ছিল, তবে বিশেষ উদ্যোগে দ্রুত ফ্যান আনা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আমরা সবসময় ভূমিকা রেখে যাব।
ভিপি মুসলিমুর রহমান বলেন, শহীদ স্মৃতি ভবন উদ্বোধনের সময়ই ফ্যান বসানোর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। প্রায় ৫-৬ মাস ধরে টেন্ডার অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলেছে। অবশেষে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ও হল প্রশাসনের উদ্যোগে কার্যক্রম শুরু হলো।
তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে হল সংসদ নিরলসভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হলে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবিও জানানো হয়েছে।
প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট থেকে ২৫২টি কক্ষের জন্য মোট ৫০৪টি ফ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৮২টি এসে পৌঁছেছে, বাকি ২২টি রোববার পাওয়া যাবে। সিন্ডিকেটের অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন বিবেচনায় বিশেষ অনুমতিতে কাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই শিক্ষার্থীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবে।”*
তিনি আরও জানান, ফ্যান ছাড়াও পুরাতন ভবনের আসবাবপত্র, এয়ার কন্ডিশন ও অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই শেখ মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা আধুনিক সুযোগ-সুবিধার আওতায় আসবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন