সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা তালা উপজেলায় শিক্ষকের ‘ডাস্টারের আঘাতে’ পা ভেঙেছে সাবের হোসেন নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের। আহত ওই ছাত্র বর্তমানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত শনিবার সকালে পাটকেলঘাটার মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক কোনো দায় না নেওয়ায় সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়েছেন সাবেরের বাবা।

সাবের হোসেন উপজেলার তৈলকুপি গ্রামের আব্দুর রউফ মোড়লের ছেলে। অভিযুক্ত শিক্ষক শেখ কামরুল ইসলাম ওরফে লিটন পাটকেলঘাটার মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

সাবেরের বাবা আব্দুর রউফ জানান, ‘গত শনিবার সকালে ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে’ তার ছেলে সাবেরকে নির্মমভাবে পেটান শিক্ষক কামরুল। পরে তিনি ছেলেকে নিয়ে পাশের ক্লিনিকে ভর্তি করেন। পরীক্ষা শেষে তিনি জানতে পারেন তার ছেলের ডান পায়ের হাঁটুর বল সরে গিয়েছে। এর পর থেকে তার ছেলে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বার বার মামলা না করার জন্য বাড়িতে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করে। তবে ঘটনার কোনো সুরাহা না হওয়ায় সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।’

মাদ্রাসার শিক্ষক কামরুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনার দিন সকালে তিনটি ছাত্র মারামারি করছিল। পরে তিনি ওই ছাত্রদের ডাস্টার দিয়ে মেরেছেন। এতে ওই শিশুটি গুরুতর আঘাত পেয়েছে। ক্ষমা চেয়ে তিনি ওই শিশুদের বাড়িতে একাধিকবার গিয়ে চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন।’

তবে ডাস্টারের আঘাতে কীভাবে ছাত্রের পা ভাঙে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসায় বেত আছে তবে সেটি ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয়, কাউকে মারপিট করা হয় না।’

পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’