ভিডিও

রেল সেতুতে বাঁশ দিয়ে জোড়াতালি, ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ০৯:২৮ রাত
আপডেট: মে ১৫, ২০২৪, ০৯:২৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রডের পরিবর্তে বিভিন্ন স্থাপনায় বাঁশের ব্যবহারের কথা প্রায় শোনা গেলেও এবার রেললাইনের স্লিপার ক্লিপে নাটের বদলে বাঁশের কঞ্চি দেওয়া হয়েছে। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

 

জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া বাগানের জানকি ছড়া এলাকায় ১৫৩নং রেলসেতু কাঠের অর্ধেক স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে। আর নষ্ট হওয়া স্লিপারের লোহার ক্লিপে নাটের বদলে দেওয়া হয়েছে বাঁশের কঞ্চি।

বুধবার (১৫ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, কোথাও কোথাও ক্লিপগুলো ওঠে যাচ্ছে। এছাড়া অনেক স্লিপারে নাট নেই। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে বাঁশের কঞ্চি। সেতুর আশপাশের লাইনেও অনেক ক্লিপ নেই। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে রেল। দীর্ঘদিন থেকে এই রেলসেতুগুলো নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তরে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের কাছে খালের ওপর নির্মিত ঢাকা-সিলেট- চট্টগ্রাম রেলপথে ১৫৩ নং রেলসেতু। ব্রিটিশ সরকারের করা ব্রিজটির পাশাপাশি বর্তমান সরকার শেষবার মেরামত করে ২০১৯ সালে।

 
 

এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে সিলেট-চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রেন যাতায়াত করে। পাশাপাশি মেঘনা, পদ্মা, যমুনা তেলের ডিপোর জন্য ভারী মালবাহী ট্রেন এই সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়া-আসা করে।

এলাকার বাসিন্দা বুধুম সরকার বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আমি যাতায়াত করি। বেশ কিছুদিন ধরে এই সেতুতে বাঁশের কঞ্চির ব্যবহার দেখছি। ছোট্ট একটি সেতুতে ২৭টি নাট নেই।

এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাঠের তৈরি স্লিপার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে সেতুগুলো। যে পিলারের ওপর ব্রিজটি দাঁড়িয়ে আছে তার মূল নাটগুলো নেই। যে কোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

শ্রীমঙ্গল পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরের (পিডব্লিউআই) গুলজার বলেন, জানা মতে, রেললাইনে বাঁশের ব্যবহার কখনো হবার কথা না, তারপরও দেখছি। অবহিত করার জন্য ধন্যবাদ।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব জানান, এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টারকে অবহিত করেছি ও আগামীকাল আইনশৃঙ্খলা মিটিং। তখন এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার করা বলব।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS