ভিডিও

ভারী বর্ষণে নাজেহাল খুলনাবাসি, তলিয়েছে সড়ক ও বসতবাড়ি

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৪:২৫ দুপুর
আপডেট: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৮:৫২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক:  ভারী বর্ষণে খুলনা শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় বাড়িতেও প্রবেশ করেছে পানি। থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি। এতে চড়ম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ।

নগরবাসীর অভিযোগ, কিছুটা ভারী বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে নগরীর নিম্নাঞ্চল। প্রধান সড়কগুলোয় তৈরি হচ্ছে জলজট।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের আমিরুল আজাদ বলেন, মৌসুমি বায়ুর কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা শহরে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যার মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন থেমে থেমে হলেও বিকেলের পর ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টিতে খুলনা নগরীর খালিশপুর মুজগুন্ন, বাস্তুহারা কলোনি, হাউজিং এলাকা, ফুলবাড়ী গেট, রেলগেট, মহেশ্বরপাশা, দৌলতপুর, নতুন রাস্তার মোড়, আলমনগর, নেভি চেকপোস্ট, রায়েরমহল, বয়রা বাজার, গল্লামারি, ময়লাপোতা, রয়েল মোড়, টুটপাড়া জোড়া কল বাজার, মহির বাড়ির খালপাড়, রূপসা ঘাট, নতুন বাজারসহ আরও কিছু এলাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অল্প বৃষ্টিতেই নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পযর্ন্ত তীব্র বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির বিষয়টি নতুন নয়। গত কয়েক বছর ধরেই এমনটি দেখা যাচ্ছে। যেসব সড়কে উন্নয়ন কাজ চলছে সেসব সড়কে চলাচলে অতিরিক্ত দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পলিথিনসহ নানারকম ময়লা, আবর্জনায় নালা-নর্দমার মুখগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ রকম ছোট ছোট সমস্যা বড় হয়েই বিভিন্ন সড়কের জলাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন নিয়মিতভাবে ড্রেন পরিষ্কার করে না। দায়সারা ড্রেন পরিষ্কার করলে এই পরিস্থিতিই হয়। পরিকল্পিত উপায়ে ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হলে এই জলাবদ্ধতা দূর করা যেত।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) সূত্র জানিয়েছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে সড়ক আছে প্রায় এক হাজার ২১৫টি, যার দুই-তৃতীয়াংশই বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় গত ছয় বছরে ১০৪টি ড্রেন পুনরনির্মাণ করেছে। ময়ূর নদসহ সাতটি খাল পুনরায় খনন ও ৩২টি ড্রেনের সংস্কার চলছে। এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৫০২ কোটি টাকা।

খুলনা মহানগরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন নামে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। প্রকল্প ব্যয় ছিল ৮২৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। নতুন প্রকল্পে এসব ড্রেনের কাভার দেওয়ার ফলে নগরবাসী খোলা ড্রেনে আর ময়লা ফেলতে পারছে না। কিন্তু আধুনিক ময়লা পরিষ্কার করার যন্ত্র না থাকায় এসব ড্রেনের ভেতর পানির প্রবাহে বয়ে আসা পলিথিন, চিপসের প্যাকেটসহ অন্যান্য ময়লা জমে ভরাট হয়ে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে নিম্নাঞ্চলের পানি অপসারণ হতে সময় লাগছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS