ভিডিও বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

প্রশাসক বেক্সিমকো নিয়ন্ত্রণে নিলেই শ্রম অসন্তোষ নিরসন হবে : শ্রম সচিব

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে

প্রশাসক শিল্প গ্রুপ বেক্সিমকোকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিলে চলমান শ্রমিক অসন্তোষ নিরসন হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। 
 
আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
 
গাজীপুর মহানগরের সারাবো এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। এ বিষয়ে শ্রম সচিব বলেন, প্রতি মাসে বেক্সিমকোর বেতন-ভাতা বাবদ ৮২ কোটি টাকা দিতে হয়। তারা দ্রুত বেক্সিমকোয় প্রশাসক নিয়োগ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা তার দফতরে কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখান থেকে তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বাণিজ্য ও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে এই মুহূর্তে যে অসন্তোষ আছে, সেটা কীভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবেন। 
 
সচিব জানান, শনিবার গভর্নরের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, এবিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে যখন একজন প্রশাসক পুরোপুরি এটা বুঝে নেবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালককে প্রশাসক করা হচ্ছে। এটা টেকঅফ করলে সমস্যা সমাধান হবে। বেক্সিমকোর দায়দেনা অনেক বেশি জানিয়ে শ্রম সচিব বলেন, এতো বড় একটা প্রতিষ্ঠানকে সরকার সহায়তা দিয়ে এর সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। সমস্যার সমাধান তাদের নিজেদেরই করতে হবে। তাদের ফ্যাক্টরিটা টেকওভার করে কীভাবে সমস্যা সমাধান করা যায়, সেই ব্যবস্থা তারা করছেন। সেখানে যে সাময়িক অসন্তোষ সেটা নিয়ে সেনাবাহিনী এবং শিল্প পুলিশ কাজ করছে। সচিব বলেন, বেক্সিমকোর ফার্মাসিটিক্যালটা এখনো লাভজনক। তাদের টেক্সটাইলটা রুগ্ন হয়ে গেছে। বেক্সিমকোর পেছনে যিনি আছেন তাকে অন্তরীণ করা হয়েছে।
 
সচিব বলেন, বেক্সিমকোর কারণে অনেকগুলো ব্যাংক খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। জনতা ব্যাংক তাদের একটি বড় জায়গা। সেখান থেকে তাদের টাকা দেওয়ার কথা। গত দু’মাসে ৮২ কোটি টাকা করে ১৬৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এ মাসে ৬২ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ব্যাংকের সঙ্গে তাদের যে অ্যারেঞ্জমেন্ট, সেখানে ঘাটতি রয়েছে। রপ্তানির পরে জনতা ব্যাংকে টাকা ঢুকছে। বেক্সিমকো অনেক ব্যাকলক আছে, সেখান থেকে তাদের টাকা দেবে নাকি সেই ব্যাকলক অ্যাডজাস্ট করবে। এটা নিয়ে কথা হচ্ছে। চার-পাঁচজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা এটা নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানান শ্রম উপদেষ্টা। 
 
শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, মালিক এবং শ্রমিক মিলে ১২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই মালিক আছেন যাদের অন্তরীণ রাখা হয়েছে।
 
শ্রমিকরা অনেক যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন, আবার অনেক দাবি অযৌক্তিক। শ্রম খাত অস্থিতিশীল করতে তৃতীয় পক্ষ কাজ করছে। আগামী মার্চের মধ্যে নতুন শ্রম আইন করা হবে এবং এই আইন আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

 অতীতের মতো ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে রেজাল্ট দেয়া হবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা

‘বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে ফিট না ’

বগুড়ার কাহালুতে মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু

বরিশালে নতুন করে ৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

সিরাজগঞ্জে বৃষ্টিতে জনজীবনে দুর্ভোগ