নওগাঁর মান্দায় গভীর নলকূপের ঘরে তালা সেচ সংকটে আলুর আবাদ

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দা উপজেলার দেবীপুর মৌজায় একটি গভীর নলকূপ জবরদখল করে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে কয়েক ব্যক্তি। এতে ওই মাঠের প্রায় ২৭০ বিঘা জমিতে লাগানো আলুর আবাদে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, দেবীপুর মাঠে অন্তত ১০দিন আগেই আলুর বীজ রোপণ কাজ শেষ হয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের জমিতে বীজ রোপণের এক সপ্তাহের মধ্যেই সেচ দিতে হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত গভীর নলকূপটি চালু হয়নি। সময়মত সেচকাজ না হলে ক্ষতির মুখে পড়বেন মাঠের কৃষকেরা।
গভীর নলকূপের অপারেটর আলতাজ উদ্দিন বলেন, দেবীপুর মাঠে আমাদের ৫০ বিঘা ফসলি জমি রয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে আমার ব্যক্তিমালিকানার জমিতে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। ওই সময় থেকে আমি অপারেটরের দায়িত্ব পালন করছি।
হঠাৎ করে দু’সপ্তাহ আগে চৌবাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী, আসাদ আলী, আশরাফুল ইসলামসহ কয়েকব্যক্তি জবরদখল করে গভীর নলকূপের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বিষয়টি নিরসন করে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ। ওইদিন রাত ৮টার দিকে মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে গভীর নলকূপের ঘরে আবারও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনমাঠের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১০দিন আগে ওই মাঠের ৮ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি হওয়ায় জমিতে আর্দ্রতা নেই। এ কারণে রোপণের ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে সেচের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত নলকূপটি চালু হয়নি। সময়মত সেচ না হলে আলুর চারা গজানোর পরিমাণ কমে যাবে। ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মান্দা বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী এসএম মিজানুর রহমান বলেন, জটিলতা নিরসন করে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু মোহাম্মদ আলী ও আসাদ আলীসহ কয়েকব্যক্তি আবারও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে কেন তা আমার বোধগম্য নয়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন