ভিডিও বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশায় আলুক্ষেতে নানা রোগ

লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশায় আলুক্ষেতে নানা রোগ। ছবি : দৈনিক করতোয়া

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :  লালমনিরহাটে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে গত কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। ফলে এ অঞ্চলে আলু ক্ষেতে দেখা দিয়েছে লেট ব্লাইট বা নাবি ধসা রোগ। ফলে আলুর ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। কয়েক দিনের কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় গাছের পাতা কুঁকড়ে মরে যাচ্ছে। কৃষকেরা আলু ক্ষেতে স্প্রে করে আসছেন। তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। এ অবস্থায় কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে বলে জানান একাধিক কৃষক।

জানা যায়, তিস্তা চর এলাকায় বেশিরভাগ মানুষ আগাম আলু চাষের ওপর নির্ভর করেন। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে আলু গাছের পাতায় রোগ দেখা দিয়েছে। পাতা সাদা হয়ে ধীরে ধীরে গাছ নুয়ে পড়ছে। ছত্রাকজনিত রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় ফলন নিয়ে শঙ্কায় কৃষকেরা।

কুয়াশা কাটাতে নিয়মিত স্প্রে করায় খরচ বাড়ছে। এরপরও কৃষকরা ঘন কুয়াশার সঙ্গে যুদ্ধ করে এখনো আলুর মাঠ রক্ষা করে চলেছেন। এসব কারণে চলতি বছর আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। কৃষকদের দাবি, কোনো ওষুধেই কাজ হচ্ছে না, গাছ মরে যাচ্ছে।

লালমনিরহাট কৃষি বিভাগ জানায়, লালমনিরহাটে এ বছর ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। তিস্তার চরের তালেব আলী বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা তিস্তা চরে আগাম আলু চাষাবাদ করি। এবারও আলু লাগিয়েছি কয়েক একর। কয়েক দিনের ঠান্ডা আর কুয়াশায় আলু ক্ষেতের অবস্থা খুবই খারাপ।

আরও পড়ুন

মাঝে মাঝে গাছ মরে যাচ্ছে। স্প্রে করতেও প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। এরপরও কোন কাজ হচ্ছে না। ফলে চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে আমার। পাটগ্রাম উপজেলার বাউরার আলু চাষি নবিয়ার রহমান বলেন, ‘৪ বিঘা জমিতে আলু চাষাবাদ করেছি। কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেতের গাছ মরে যাচ্ছে। স্প্রে করেও কাজ হচ্ছে না। এভাবে ঘন কুয়াশা থাকলে ক্ষতির মুখে পরবো’।

হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীত ও কুয়াশার প্রকোপ বাড়ছে। এতে আলু ক্ষেতে নাবি ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে কৃষি উপ-সহকারীরা এ ছত্রাকনাশক দমনের জন্য কৃষকদের স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত রোগটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে’।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আমি বরাবরই আপনাদের ভালোবাসায় ঋণী- ছাত্রদল প্রার্থী হামীম

‘পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম’-আবিদুল ইসলাম খান

৫ কেন্দ্রের ফলাফলে বিপুল ভোটে এগিয়ে সাদিক কায়েম

সুফিয়া কামাল হলে সাদিক কায়েম ১২৭০, উমামা ৫৪৭

অমর একুশে হলে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ৬৪৪ ভোট, আবিদ ১৪১

উৎসবমুখর পরিবেশে ডাকসুর ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা, ফল ঘোষণায় বিলম্ব