বগুড়ার শিবগঞ্জের ওসির বিরুদ্ধে আব্দুর রশিদকে অন্যায়ভাবে চালান দেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : জমি ক্রয় করতে না পেরে শফিকুল ইসলাম শান্তু শিবগঞ্জ থানার ওসিকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রাজনৈতিক মামলায় আব্দুর রশিদ শেখকে চালান দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন শিবগঞ্জ উপজেলার এনায়তেপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ শেখ এর স্ত্রী রোকছানা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রোকছানা বেগম বলেন, তার স্বামী শিবগঞ্জ উপজেলার নয়আনা মাঝপাড়া গ্রামের এমদাদুল হকের নিকট থেকে গুজিয়া বন্দরে ২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকেই এমদাদুলের উপর চাপ সৃষ্টি করে শান্ত। জমি ক্রয় করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে জমি বন্ধকী টাকা পরিশোধ না করে অন্যত্র জমি বিক্রয় করেছে মর্মে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে শান্ত।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ সাবু’র মধ্যস্থতায় সদর ইউপি চত্বরে একটি মিটিং হয়। এরপর থানায় শফিকুল ইসলাম শান্তর অভিযোগের ভিত্তিতে এই বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা দরবার হয়। কিন্তু বিষয়টি অমিমাংসিত রয়ে যায়। এর ফাঁকে এলাকার চিহ্নিত ব্যক্তি শফিকুল ইসলাম শান্তুর শিবগঞ্জ থানার ওসিকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে একটি রাজনৈতিক মামলায় চালান দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
এরপর ২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় শিবগঞ্জ থানার এসআই আইনুল ইসলাম আব্দুর রশিদকে থানায় ডেকে নেয়। আব্দুর রশিদের পরিবারের পক্ষ থেকে শিবগঞ্জ থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই তাকে গ্রেফতারও করা হয়নি বলে জানান। একটা কাজের জন্য তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুনপরদিন সদর ইউনিয়নের অতন্তপুর গ্রামে মৃত আব্দুল হালিম শেখের ছেলে বেলাল শেখের মামলায় আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। যে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সে মামলায় আব্দুর রশিদ এজহারভুক্ত কোন আসামী নয়।
আব্দুর রশিদের পরিবার মামলার বাদি বেলাল শেখের সাথে যোগাযোগ করলে বেলাল শেখ বলেন রশিদের বিরুদ্ধে কোন মামলা করেননি এবং মামলায় তার নামও নেই। মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রাণোদিত। ওসি তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে চালানা দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
মন্তব্য করুন