কুড়িগ্রামে সরিষা চাষে ঝুঁকছে কৃষক, লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৯৩৮ একর জমি
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের সরিষা চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ করা হয়েছে সরিষা। বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্দি পাওয়ার ফলে সরিষা চাষে সম্পৃক্তদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। পাশে দাঁড়িয়েছে সরকারি কৃষি বিভাগও।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাহিদা আফরিন জানান, বর্তমান বাজারে সয়াবিন তেলের ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে তেলের ঘাটতি কমাতে সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। গতবার ১ হাজার ৮৩৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এবার সেটা বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৯৩৮ একর জমিতে রুপান্তরিত করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ট্যাংরার ভিটা নামক এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ করা হয়েছে সরিষা। অপেক্ষাকৃত এলাকাটি নিচু হওয়ায় প্রতিবছর বন্যায় জমিগুলো ৪ থেকে ৫ মাস পানিবন্দি থাকে। এসময় কোন চাষাবাদ হয় না। বন্যার পানি নদ-নদী থেকে নেমে গেলেও এখানকার পানি আটকে থাকে শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত। ফলে একমাত্র ভরসা বোরো ধান চাষ।
আরও পড়ুনতবে একাধিকবার বন্যা হলে অথবা বিলম্বিত বন্যার ফলে অনেক সময় সেই ধানও ঘরে তুলতে পারে না কৃষক। ফলে সাড়ে ৩শ’ বিঘা জমি অনাবাদি পরে থাকে। এখন ক্ষতি কমাতে সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। কৃষক শহিদুল জানান, আমি ৯ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় খরচ প্রায় সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। তিন মাস পর আমি সরিষা মাড়াই করতে পারবো। বিঘায় উৎপাদন প্রায় ৪ মণ। প্রতিমণ সারিষার মূল্য ৩ হাজার টাকা। বিঘায় ১২ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এতে আমাদের ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা লাভ থাকে।
এ এলাকার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার নকুল কুমার জানান, এ গ্রামে প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। প্রতিবছর এসব জমিতে এখানকার কৃষকরা অল্পবিস্তর সরিষা চাষ করে। এবার সরকারি প্রণোদনা ও পূণর্বাসন কর্মসূচি পাওয়ায় ২শ’ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছে।
মন্তব্য করুন