রংপুরের মিঠাপুকুরে হিমাগার বন্ধ করায় আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার চারটি হিমাগারে আলু নেওয়া বন্ধ করায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। অপরদিকে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মন খেত থেকে আলু উঠিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিজ বাড়িতে আলু সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে। এ উপজেলায় গত বছরের তুলনায় অতিরিক্ত ৩ হাজার সহ ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর অতিরিক্ত ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। গত বছর ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ফলনও ভাল হয়েছে বলে জানান চাষি আশরাফ আলী। গোপালপুরের এই কৃষক জানান, তিনি ১ একর ৮৩ শতক জমিতে আলু চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ পড়েছে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা।
কিন্তু বাজারে দর পড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হবে বলে জানান তিনি। এদিকে উপজেলার হিমাগার গুলোতে আলু নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলার শঠিবাড়ি উত্তমাশা কোল্ড স্টোরের একজন কর্মচারী জানান, কৃষকের তুলনায় অনেক বেশি আলু রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এ কারণে আলু নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। হিমাগারে আলু রাখতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি করতেও পারছেন না। এখনো অনেক জমি থেকে আলু উঠানো হয়নি।
আরও পড়ুনঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মন দ্রুত খেত থেকে আলু উঠিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন । এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন জানান, যে ঘরে বাতাস চলাচল করতে পারে সেই ঘরে মাচা করে সহজেই আলু সংরক্ষণ করা যায়।
তবে পচা, কাটা, রোগবালাই ধরা আলু বাছাই করে নিতে হবে। তিনি সংরক্ষণ করা আলুতে কীটনাশক না দিয়ে রোগ বালাই পোকামাকড় প্রতিরোধে নিম পাতা বা বিষকাটালির পাতা আলুর উপর ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন।
মন্তব্য করুন