সিরাজগঞ্জে নির্মাণ করা হয়েছে ভাসমান ঈদগাহ

সিরাজগঞ্জ ও উল্লাপাড়া প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন চলনবিলের আওতাভুক্ত হওয়ায় এই এলাকা বছরে প্রায় চার মাসই থাকে বন্যা কবলিত। এই সময় অত্র এলাকার মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না।
প্রতি বছরই বর্ষাকালের শুরু থেকে প্রায় তিন থেকে চার মাস এলাকাটি বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকে। এই সময় অত্র এলাকার নরসিংহপাড়া, শুকলাই ও শুকুলহাট গ্রামবাসীদের ঈদের নামাজ, মৃত ব্যক্তির জানাজাসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান করতে বিপাকে পরতে হয়। আর এই অসুবিধা দূর করতেই অত্র এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে পাকা ছাদের ভাসমান এই ঈদগাহ মাঠটি।
তিন গ্রামের সীমানায় আরসিসি উচু পিলারের ওপর ঢালাই দিয়ে পাকা ছাদের মাঠ বানানো হয়েছে। এখানে বর্ষাকালে পাকা ছাদের মাঠে একসাথে এক জামাতে প্রায় আড়াই হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন বলে জানা গেছে। আর শুকনো মৌসুমে নিচতলা ও দোতলা পাকা ছাদ মিলে প্রায় পাঁচ হাজার মুসল্লি এক জামাতে ঈদের নামাজ পড়তে পারেন বলে জানা গেছে।
এটি ব্যারিস্টার রওশন-জাহান ফাউন্ডেশন ও তিন গ্রামবাসীদের টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিগত ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর এর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এটি নির্মাণে এ যাবত প্রায় ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বিগত ২০১৯ সাল থেকে ঈদগাহ মাঠটিতে ঈদের নামাজসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুননরসিংহপাড়া গ্রামের হাসান আলী জানান, আমরা নিচু এলাকায় বসবাস করি। বর্ষা মৌসুমে আমাদের বাড়ি ছাড়া অত্র এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এসময় আমরা নৌকাযোগে দূরে কোথাও গিয়ে ঈদের নামাজ পড়তাম, মানুষ মারা গেলে দূরে গিয়ে জানাজা পড়া হতো। এই দূরাবস্থা দূর করতেই ব্যারিস্টার রওশন-জাহান ফাউন্ডেশন ও তিন গ্রামবাসীদের টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে এই ভাসমান ঈদগাহ। এখন আর আমাদের ঈদের নামাজ ও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য কোথাও যেতে হয় না।
ঈদগাহ নির্মাণের মূল পরিকল্পনাকারী হলেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও জ্যোতি প্রকাশ এর প্রকাশক মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, ঈদগাহ মাঠটিতে এখন বর্ষাকালে ঈদের নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা হয় না।
সবাই আনন্দ মনে এখানে এসে নামাজ পড়েন। ব্যারিস্টার রওশন-জাহান ফাউন্ডেশন ও বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নরসিংহপাড়া, শুকলাই ও শুকুল হাট এই তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের আর্থিক সহায়তায় এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন