নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট
লালমনিহাটের পাটগ্রামে অভিনব কৌশলে বোমামেশিন দিয়ে রাতে পাথর ও বালু উত্তোলন

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) সংবাদদাতা : লালমনিহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধরলা, সানিয়াজান, সিঙ্গিমারী নদীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের জমি থেকে অভিনব কৌশলে বোমা মেশিন দিয়ে চলছে পাথর ও বালু উত্তোলন। বোমা মেশিন মূলত পাওয়ার পাম্প আর পাইপ দিয়ে তৈরি একটি যন্ত্র। চলার সময় এটি বোমা বিস্ফোরণের মতো বিকট শব্দ হয় বলে স্থানীয়রা নাম দিয়েছে ‘বোমা মেশিন’।
অবশ্য মেশিন মালিকেরা এবার পাথর বালু উত্তোলনের কৌশল বদলেছেন। আগে দিনে ও রাতে পাথর বালু উত্তোলন করতেন। এখন তারা রাতে বোমা মেশিন চালু করলেও দিনে রাখেন বন্ধ। বোমা মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে নষ্ট হচ্ছে ফসলী জমি ও রাস্তাঘাট। পাথর উত্তোলনকারীরা এবার কৌশল বদলেছেন।
আগে দিনরাত পাথর উত্তোলন করলেও এখন বেশির ভাগ সময় রাতে ভাসমান স্থাপনা বসিয়ে পাথর উত্তোলন করে। তবে কিছু মেশিন দিনের বেলাও চলে। মেশিন মালিকদের কিছু সোর্স রয়েছে প্রশাসন আসার খবর আগেই জানিয়ে দেন। প্রশাসনের অভিযানের খবর পেলেই নৌকা নিয়ে ভাসমান স্থাপনা সরিয়ে নেন তারা।
পাটগ্রাম পৌরসভার বেংকান্দা এলাকার বাসিন্দা মজিবর রহমান (৬৬) বলেন, বোমা মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে। এ মেশিনের বিকট শব্দ হয়। এর ফলে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে হাতীবান্ধা মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও পাটগ্রাম পৌরসভার বাসিন্দা ইফতেখার আহম্মেদ বলেন, পাটগ্রামে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি বোমা মেশিন চলছে। ফলে নদী ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। আবাদি জমি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবাদি জমি নষ্ট হচ্ছে। যখন অভিযান হয় তখন মেশিনগুলো আংশিক ভাঙে। সেই মেশিনগুলো মেরামত করে তারা আবারও চালায়।
এবিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, পাটগ্রামে বিভিন্ন মহল নদী থেকে লুকোচুরি করে রাতে গোপনে পাথর ও বালু তোলে। আমরা ইতোপূর্বে মেশিন ধরে মামলা দিয়েছি। বর্তমানে পাটগ্রামে মেশিন বন্ধ আছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন