ভিডিও বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

দেশের কোনো মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার - অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন

দেশের কোনো মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার - অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন। ছবি : দৈনিক করতোয়া

নীলফামারী প্রতিনিধি : স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেছেন, দেশের কেনো মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। তবে মানসম্মত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হলে কঠোর সিদ্ধান্ত নিবে। আজ শনিবার ১২ এপ্রিল) সকালে নীলফামারী সরকারি মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, দেশে সরকারি যে ৩৭টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে তার মধ্যে ছয়টি মেডিকেল কলেজ ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এর মধ্যে নীলফামারী মেডিকেল কলেজ একটি এবং স্বাভাবিকভাবে নবীন নীলফামারীসহ ছয়টি মেডিকেল কলেজে এখনও পরিপূর্ণভাবে অবকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। 
২০১৮ সালে তৎকালীন সরকার যথাযথ কোন পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই এই মেডিকেল কলেজগুলোকে স্থাপন করে।

পরবর্তীতে এই সমস্যটা আরও জটিল হয়ে যায় যখন ২০২২-২৩ সালে এসে এক সিদ্ধান্তে মেডিকেল কলেজগুলোতে ১ হাজার ৩০টি আসন বাড়িয়ে ফেলে, এটার জন্য যে প্রস্তুতির দরকার তার কিছুই নেওয়া হয়নি। এরকারণে আমাদের মেডিকেল কলেজগুলো ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। একটি মেডিকেল কলেজে যে পরিমাণ শিক্ষার্থীর জন্য উপযুক্ত তার থেকে অনেক বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়ে চলতে হচ্ছে। এর প্রতিফল ঘটতে পারে মেডিকেল কলেজ শিক্ষারমানে আমাদের কনসান্ট সেটা নিয়েই।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অথবা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর আমরা কখনই কোন মেডিকেল কলেজ বন্ধ করতে চাই না। কিন্তু মেডিকেল কলেজে উপযুক্ত শিক্ষারমান বজায় রাখতে হবে। যদি কোন কারণে সেটা সম্ভব না হয় তবে ভিন্ন চিন্তা করতেই হবে।

রংপুর মেডিকেল কলেজসহ পুরনো আটটি মেডিকেল কলেজের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ্য করে মহাপরিচালক বলেন, আপনারা শুনে আশ্চর্য হবেন যে এই নবীন ছয়টা মেডিকেল কলেজই না আমাদের সবচেয়ে পুরাতন যে আটটা মেডিকেল কলেজে আছে যাদের আমরা গ্র্যান্ড এ বা ওল্ড এইড বলি সেখানেও কিন্তু সমস্যা আছে। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের মাঝ খানে যে মেডিকেল কলেজগুলো হয়েছে, সেগুলোর সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম।

আরও পড়ুন

তবে পুরনো মেডিকেল কলেজগুলোর সমস্যা একরকম। সেখানে অবকাঠামোগুলো পুরনো হয়ে গেছে। সেগুলো রিপে¬স করা দরকার। এটার জন্য আমরা ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজে একাডেমিক ভবন তৈরি হচ্ছে। দশটা মেডিকেল কলেজে ১৯ টা ছাত্র হোস্টেল তৈরি হচ্ছে। আগামী দু'এক মাসের মধ্যে একদম ফিজিক্যাল কাজও হয়তো শুরু হয়ে যাবে। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের জন্য দুইটা হোস্টেল তৈরি হচ্ছে।

এর আগে সকালে নীলফামারী সরকারি মেডিকেল কলেজে সম্মেলন কক্ষে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জিম্মা হোসেনের সভাপতিত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন। মতবিনিময় সভায় নীলফামারী সরকারি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণসহ সার্বিক সমস্য মহাপরিচালকের কাছে তুলে ধরেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় সেখানে মহাপরিচালককে একটি স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।

পরিদর্শন শেষে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চারটি গাছের চারা রোপণ করেন মহাপরিচালক। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা) ডা. মাসুদুর রহমান, উপ-পরিচালক (সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ) ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহসহ রংপুর ও দিনাজপুর সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষগণ।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৯৮ পেয়ে প্রথম হলেন জবি শিবির নেতা

তিন দফা দাবিতে বুধবার ‘লং মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের

জয়পুরহাটে জামিন নিতে এসে কারাগারে গেলেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা

বগুড়ার ধুনটে ১১০ কোটি টাকার ভুট্টা উৎপাদন, কৃষকের লাভ দ্বিগুনেরও বেশি

রাজশাহীতে রেফারি প্রশিক্ষণ শুরু

বগুড়ার ধুনটে যুবদল নেতার ওপর ককটেল হামলা, গ্রেফতার ১