বগুড়ায় ৪ আগস্টের ঘটনায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের ৫ নেতাকর্মী রিমান্ডে

কোর্ট রিপোর্টার : দেশব্যাপী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ফ্যাসিস্ট শেখ হসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গত বছরের ৪ আগস্ট বগুড়ায় পৃথক স্থানে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার মিছিলে হামলা, মারপিট, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণসহ হত্যার অভিযোগে পৃথক মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কর্মীসহ ৫ হাজতি আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
রিমান্ড মঞ্জুরকৃত আসামিরা হলো শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যন মো. নুরুজ্জামান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব সাহা,সোহাগ সরকার, তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, আজিজ হোসেন আকন্দ। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়া সদর আমলী আদালতের বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান আজ বুধবার (১৪ মে) ওই আসামিদের পলিশ রিমান্ডের আবেদন শুনানিশেষে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া স্কুলের মোড়ে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার মিছিলে হামলা চালিয়ে মারপিট ও গুলিসহ ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত হাজতি আসামি শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যন মোঃ নুরুজ্জামান এবং জেলা ছত্রলীগের সভাপতি সজিব সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের পলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নজরুল ইসলাম ওই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেন। অপরদিকে একইদিন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের বড়গোলায় রাস্তার ওপরে ছাত্র জনতার মিছিলে হামলা চালিয়ে শিমুল হত্যা মামলার আসামি সোহাগ সরকার ও তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদকে ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তয়ন কুমার মন্ডল ওই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেন।
আরও পড়ুনএছাড়াও একইদিন বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে শহরের ঝাউতলা বড়গোলা রোডে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার মিছিলে হামলা চালিয়ে মারপিট ও গুলিসহ ককটেল বিস্ফোরণের মামলার আসামি আজিজ হোসেন আকন্দকে ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
এই এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আনিসুর রহমান ওই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেন। ফ্যাসিস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ২৫০/৩০০ জন আসামি করে ওই ৩ টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন