ভিডিও রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সন্ন্যাসতলী’র শতবর্ষী ঘুড়ি মেলায় হাজারো মানুষের ঢল

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সন্ন্যাসতলী’র শতবর্ষী ঘুড়ি মেলায় হাজারো মানুষের ঢল। ছবি : দৈনিক করতোয়া

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রাম ঘেঁষে তুলশীগঙ্গা নদীর অদুরে সন্ন্যাসতলীর বটতলায় শত বছর আগে শুরু হয়েছিল ঘুড়ি মেলার উৎসব। সেই কৃষ্টি আজও ধরে রেখেছেন সন্ন্যাসতলী এলাকার অন্তত ৫০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

তারই ধারাবাহিকতায় শুরু হওয়া সন্ন্যাসতলী ঘুড়ি উৎসবের মেলা আজ শুক্রবার (১৩ জুন) শেষ হয়েছে। এই মেলার দিনক্ষণ মনে রেখে সময়মত দোকানিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা ভিড় জমান নিভৃত পল্লীর ওই ঐতিহ্যবাহী মেলায়। অনাদিকাল থেকেই এ মেলার বৈশিষ্ট্য মেলার দিন অন্তত একপশলা বৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। এবার বৃষ্টি না হওয়ার পাশাপাশি মেলায় ছিল প্রচন্ড গরম ও দাবদহ। তারপরেও এ মেলায় হাজার হাজার নারী ও পুরুষের ঢল নামে।

এলাকার প্রবীণদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সন্ন্যাসতলীর এই ঘুড়ি উৎসব শুরুর দিন বিকেলে বটতলায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সন্ন্যাস পূজা প্রতিবারের ন্যায় এই বারও পালন করেন। তাদের এই পূজা অর্চনাকে ঘিরেই মূলত এ মেলার উৎপত্তি ঘটে। তবে এর গোড়া পত্তনের কথা কেউ বলতে পারেননি। মেলার নিজস্ব কোন জায়গা না থাকলেও বর্তমানে এর ব্যাপ্তি প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দেখা গেছে।

প্রচন্ড গরম তাপদাহ উপেক্ষা করে একদিনের এ মেলাকে ঘিরেই জেলার জামালগঞ্জ চারমাথা থেকে ঐতিহাসিক আছরাঙ্গাদীঘি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রকমারি দোকানের পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, শিশু কিশোরদের শুভাগমন চোখে পড়ার মত।

আরও পড়ুন

মাত্র কয়েক ঘন্টার স্থায়ী এ মেলায় সাংসারিক বিভিন্ন আসবাবপত্র থেকে শুরু করে ছোট মাছ ধরার বাঁশের তৈরিকৃত পণ্য খলসানি সহ, টোপা, ডালা, চালুন এবং সুতার তৈরি তৌরা জাল, গৃহস্থালী কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, বিভিন্ন খেলনা, মিষ্টান্ন, মাটির তৈজসপত্রসহ সহস্রাধিক দোকানি মেলায় এসেছিলেন তাদের পণ্য বিক্রির জন্য।

শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য ছিল নাগরদোলার ব্যবস্থাও। আর মেলার বড় আকর্ষনই হলো ঘুড়ি উড়ানো ও বিক্রি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে ঘুড়ি ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন ঘুড়ি বিক্রি করতে। তবে প্রচন্ড গরমের পাশাপাশি কোন হাওয়া বাতাস না থাকায় আকাশে ঘুড়ি উড়ানোর যে প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা এবার সে আয়োজন অনেকটা কম ছিল। হাজার হাজার দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য মেলায় সার্বক্ষণিক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহলও জোরদার ছিল।

পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়ার দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘির ঘুড়ি ব্যবসায়ী রেজাউল ও সালাম হোসেন বলেন, এই মেলায় তারা এসেছেন ঘুড়ি বিক্রির জন্য। মেলায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঘুড়ি বিক্রি করতে পেরে তারা খুশী। মেলা উদযাপন ও পূজা কমিটির সদস্য মহব্বতপুর গ্রামের মন্টু মন্ডল বলেন, মেলাটি মিলনমেলায় পরিনত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুড়িগ্রামে এখনও বিতরণ করা হয়নি ভিজিএফ এর ১৮ মে.টন চাল

দীর্ঘদিন বন্ধ করে রাখা বাগাতিপাড়ার ‘ইউএনও পার্ক’ এখনও খোলা হচ্ছে না

বগুড়ার সান্তাহারে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু, চালক গ্রেফতার

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা, গ্রেফতার ১

বগুড়ার কাহালুতে পাহারাদারকে বেঁধে ট্রান্সফরমারের কয়েলসহ মিটার চুরি

বগুড়ার শেরপুরে বেড়েছে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাই, আতঙ্কিত এলাকাবাসী