পরিবেশ দিবসে ঢাবিতে সেমিনার ও র্যালি

ঢাবি প্রতিনিধি: ‘প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জন করি, দূষণ ও প্লাস্টিকমুক্ত সবুজ ক্যাম্পাস গড়ি’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বর্ণাঢ্য সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২২ জুন) সকালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার কক্ষে এই আয়োজনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরিকালচার সেন্টার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বলেন, “মানব জাতির টিকে থাকার সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পরিবেশ রক্ষা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটি প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।” তিনি আরও বলেন, “ঢাবি ক্যাম্পাসে ইতোমধ্যে পরিবেশবান্ধব নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জোরদার, গাছের পাতা পোড়ানো বন্ধ, আতশবাজি নিষিদ্ধকরণ এবং প্লাস্টিক বর্জন এসব কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম। তিনি প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব, মাটির উর্বরতা হ্রাস, জলজ প্রাণীর বিপন্নতা এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করেন।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আরবরিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিবেশ সংসদ ও গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনউপাচার্য তাঁর বক্তব্যে জানান, ঢাবি প্রশাসন শুধু নিজস্ব উদ্যোগে নয়, বরং সরকার ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় পরিবেশ সংরক্ষণের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে চায়। এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবামূলক অংশগ্রহণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সেমিনার শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। সিনেট ভবন থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি টিএসসি হয়ে মল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে সেখানে পরিবেশবান্ধব বার্তা ছড়িয়ে দিতে দেশীয় ফলদ ও ছায়াদানকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকে আয়োজকেরা স্বাগত জানান।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এই আয়োজন শুধু প্রতীকী নয়, বরং বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের একটি বার্তা বহন করে—এমনটাই মনে করছেন অংশগ্রহণকারীরা।
মন্তব্য করুন