অনৈতিক কাজে হোটেল থেকে গ্রেপ্তার হন অভিনেত্রী
_original_1752151012.jpg)
বিনোদন ডেস্কঃ শ্বেতা বসু প্রসাদ, শিশুশিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০২ সালে ‘মকড়ি’ চলচ্চিত্রে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। কিন্তু সেই সাফল্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বরং কিছুটা অন্ধকারেই চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
নানা সফলতার মাঝেও শেষ পর্যন্ত তার নাম জড়িয়ে পড়েছিল দেহব্যবসার সঙ্গে। ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট, হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের একটি হোটেল থেকে শ্বেতা বসু প্রসাদকে দেহব্যবসার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ঘটনাটি ভারতীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
পুলিশের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, শ্বেতা বসু প্রসাদ অর্থের বিনিময়ে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন। হোটেল থেকে আটক করার পর, তাকে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর শ্বেতা গণমাধ্যমে জানান, তাকে জোর করে এই কাজে ফাঁসানো হয়েছিল। দারিদ্র্যের কারণে এই পেশায় আসতে বাধ্য হননি, বরং ভুল বুঝিয়ে এই কাজে জড়ানো হয়েছিল।
তবে অভিনেত্রীর নিজের কথাতেই বারবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একবার সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি নন, বলিউডের অনেক নায়িকাকেই জীবনের কোনও না কোনও পর্যায়ে এই ধরনের কাজ করতে হয়। ক্যারিয়ার বাঁচাতে বাধ্য হয়ে এসব করেন তারা।
আরও পড়ুন২০১৪ সালের ডিসেম্বরে, হায়দরাবাদের একটি নিম্ন আদালত শ্বেতাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। আদালত জানায়, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত শ্বেতা বসু প্রসাদ আবার অভিনয় জীবনে ফিরে এসেছেন।
‘দ্য তাশখন্দ ফাইলস’ (২০১৯), ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (২০২২) এর মতো সফল ছবিতে যেমন দেখা গেছে তাকে, তেমনই কাজ করেছেন জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস’-এও।
চতুর্থ সিজনেও পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। বাংলা ছবি ‘এক নদীর গল্প’তে মিঠুন চক্রবর্তী ও যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন