রাঙ্গামাটিতে যুবকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

রাঙ্গামাটির কাউখালি থেকে মো. দিদারুল আলম রিংকু (৪০) নামের রাউজানের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি স্থানীয়ভাবে যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে কাউখালি উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম লুঙ্গিপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. দিদারুল আলম রিংকু (৪০) কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমশের পাড়া গ্রামের কবির আহমেদ মিয়াজির বাড়ির মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। গত ৬ জুলাই দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ইউনিয়ন যুবদল নেতা সেলিমের সহযোগী হিসেবে তিনি এলাকায় পরিচিত।
নিহতের ভাই মো শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার ৮ টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির পাশে একটি কুলখানির মেজবানে গিয়েছিল। পরে রাত ১০ টার দিকে তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায় তার মোবাইল ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকবে। এরপর মোবাইল আর চালু হয়নি, ঘরেও ফিরেনি। বৃহস্পতবিার দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। গত ৬ জুলাই ঈশান ভট্টের হাটে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হওয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. সেলিমের সঙ্গে আমার ভাই মাঝে মাঝে চলাফেরা করতেন।
আরও পড়ুনকাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি মর্গে প্রেরণ করব। নিহতের স্ত্রী ও ভাই এসেছেন। মরদেহের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে, তার মুখে ফেনা ছিল। সেখান হতে মাদকের গন্ধ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ফেলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে।
এর আগে গত ৬ জুলাই চট্টগ্রামের রাউজানে স্ত্রী-মেয়ের সামনে যুবদল নেতা মো. সেলিমকে (৪৫) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আসা বোরকা পরা চার যুবক সেলিমকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার চারদিনের মাথায় তার সহযোগী হিসেবে পরিচিত দিদারুল আলম রিংকুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন