কুষ্টিয়ায় চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ
_original_1752671905.jpg)
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইজারাকৃত সড়কের চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে পৌরসভার কাজীপাড়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের দুজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতরা হলেন - কুমারখালী পৌরসভা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক ও ইজারাদার রাকিব হোসেন (৪০)। তিনি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরজনের নাম সাইফুল ইসলাম শোভন (৩০)। তিনি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুব জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আফজাল হোসাইনের ছেলে। বর্তমানে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, এক বছরের জন্য পৌর এলাকায় যানবাহন চলাচল ও পার্কিংয়ের জন্য ইজারা নিয়েছেন জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক রাকিব হোসেন। বুধবার বিকেলে যুব জামায়াত নেতা শোভনের এক অটোচালক বন্ধু কাজীপাড়া এলাকায় আসলে ইজারাদার রাকিবের সহকর্মীরা রশিদের মাধ্যমে ২০ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় অটোচালক টাকা না দিয়ে শোভনকে ফোন দেন। শোভন তার লোকজন নিয়ে কাজীপাড়া আসলে ইজারাদার রাকিবের সমর্থকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সরেজমিন কাজীপাড়া মোড় ঘুরে দেখা যায়, অতিরিক্ত পুলিশের মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. বাপ্পী বলেন, প্রথমে শোভন এসে রাকিবের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এরপর শোভন ফোন করে ৫-৭ জনকে ডেকে আনেন। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। ওরা রাকিবকে কুপিয়ে চলে গেছে।
আরও পড়ুনতবে অভিযোগ অস্বীকার করে যুব জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম শোভন বলেন, বন্ধুর কাছ থেকে চাঁদা নিতে নিষেধ করায় রাকিবের লোকজন আমাদের মারধর করেছে। আমার হাত কেটে গেছে। ওদের কারা মেরেছে তা জানি না।
উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সবুজ বলেন, রাকিব বিএনপির লোক। পৌর জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক। রাকিবের মাথায় একাধিক কোপের চিহৃ রয়েছে।
উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসাইন বলেন, কি ঘটেছিল তা জেনে পরে জানানো হবে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ইজারার টাকা তোলা নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্য করুন