গোপালগঞ্জে সহিংসতায় আরো দুটি মামলা করল পুলিশ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মার্চ ফর গোপালগঞ্জের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আরো দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। টুঙ্গিপাড়া থানা ও জেলখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সদর থানায় নতুন মামলা দুটি করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে (২২ জুলাই) ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা দায়ের করেন। আর গোপালগঞ্জ সদর থানায় গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার তানিয়া জামান বাদী হয়ে ১৬০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০০০ জনকে আসামি করে ভাঙচুরের মামলা করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গত ১৬ জুলাই জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কারাগারের জেলার তানিয়া জামান বাদী হয়ে ভাঙচুরের মামলা করেছেন। নতুন দুটি মামলা নিয়ে সংখ্যা দাঁড়াল ১০। এসব মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ৯ হাজার ৮৪৬ জনকে। আর এ পর্যন্ত ৩২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, ১৬ জুলাই এনসিপির পদযাত্রা ও পথসভা ভণ্ডুল করতে টুঙ্গিপাড়ায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুনএরআগে, গত ১৯ জুলাই রাতে নিহত ৪ যুবকের পক্ষে পুলিশ বাদী হয়ে ৪টি হত্যা মামলা দায়ের করে। নিহত সোহেল রানা পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ (মামলা নং-১৯), নিহত দীপ্ত সাহার পক্ষে উপ-পরিদর্শক শামীম হোসেন (মামলা নং-১৮), নিহত ইমন তালুকদারের পক্ষে উপ- পরিদর্শক শেখ মিজানুর রহমান (মামলা নং-২০) বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনটির প্রত্যেক মামলায় অজ্ঞাত ১৫০০ আসামি করা হয়েছে। অপর মামলাটি রমজান কাজির পক্ষে করেন উপ-পরিদর্শক মো. আইয়ুব আলী (মামলা নং-১৭) ওই মামলায় অজ্ঞাত ৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। চারটি হত্যা মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ৫ হাজার ৪০০ জনকে।
তার আগে গোপালগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে মোট চারটি মামলা করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী ও কোটালীপাড়া থানায় মামলাগুলো করে পুলিশ। চারটি মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২ হাজার ৬৫০ জনকে আসামি করে মোট ৩০০৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে নতুন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৬ জুলাই থেকে বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ৩২২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন