ভিডিও রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেফতার স্বাধীন ও ফয়সালের বাড়ি পাবনায়

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেফতার স্বাধীন ও ফয়সালের বাড়ি পাবনায়

পাবনা প্রতিনিধি : গাজিপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত স্বাধীনের (২৮) আসল নাম হলো সেলিম। বাবার নামও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পরিবর্তন করে দিয়েছে নুর মোহাম্মদ। অথচ তার বাবার আসল নাম জামাল উদ্দিন। তবে তার মায়ের নাম পরিবর্তন করেননি। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেলিম ওরফে স্বাধীনের বাড়ি পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারী নগর ইউনিয়নের সোনাহারা গ্রামে। এই গ্রামের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবুর রহমান সরকার মজনু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, জামাল উদ্দিনের দুই ছেলের মধ্যে বড় সেলিম ওরফে স্বাধীন। ছোট ছেলে সোহেল লেখাপাড়া শিখে ঢাকায় চাকরি করেন। ছোটবেলা থেকেই এলাকায় বখাটে ছেলে হিসেবে পরিচিত স্বাধীন। চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। তবে থানায় কোনো মামলা নেই। লেখাপড়া খুব একটা এগুতে পারেনি।

চতুর্থ অথবা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। তার বাবা ভ্যান-রিকশা চালাতেন। ১৫ বছর আগে তারা দুই ভাই যখন ছোট তখন পারিবারিক বিষয় নিয়ে মায়ের সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় তার বাবা তাদের ছেড়ে চলে যান। পরে তার মা দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের নানা আব্দুস সামাদ প্রামানিকের বাড়িতে গিয়ে থাকতেন। পরে তার মা দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামীর বাড়ি চলে যান। তার কয়েক বছর পর সেলিম ওরফে স্বাধীন এলাকা থেকে ঢাকায় পাড়ি জমায়। সেখানেই জড়িয়ে পড়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে।

মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে কয়েকদিন থেকে আবার ঢাকায় ফিরে যেতেন। এলাকাবাসীর ধারণা, ঢাকায় অপরাধ করে নিজেকে আড়াল করতে কিছুদিন এলাকায় এসে থাকতেন। কিন্তু সেলিম ওরফে স্বাধীন ঢাকায় কোথায় থাকতো কী করতো তা এলাকাবাসীর কেউ জানেন না।

সোনাহারা গ্রামের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবুর রহমান সরকার মজনু বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর আমরা জানতে পারি সে ঢাকার গাজীপুরে থাকতো। কিন্তু তার নামতো স্বাধীন নয়, তার আসল নাম সেলিম। আর বাবার নামও নূর মোহাম্মদ নয়। তার বাবার আসল নাম জামাল উদ্দিন।

আরও পড়ুন

সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত পাবনার আরেক যুবক ফয়সাল হাসান (২৩)। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফয়সাল হোসেন ওরফে রমজান পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পাঁচবাড়িয়া গ্রামের কিয়াম উদ্দিনের ছেলে। তিন ছেলের মধ্যে ফয়সাল সবার বড়।

মেঝো ছেলে রাসেল হোসেন গাজিপুরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এইচএসসি শিক্ষার্থী আর ছোট ছেলে রাকিব হোসেন গাজিপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। স্থানীয় বাসিন্দা জিন্না সরকার জানান, কিয়াম উদ্দিন গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসের কর্মী। ৩০ বছর আগে তিনি জীবিকার তাগিদে গাজিপুরে পাড়ি জমান এবং গাজীপুরেই বিয়ে করে বসবাস শুরু করেন। কিয়াম উদ্দিনের এলাকায় কোন ঘরবাড়ি নেই।

এলাকায় বেড়াতে আসলে আসলে তার ছোট ভাই আবু হানিফের বাড়িতে থাকেন। অভিযুক্ত ফয়সাল কখনও গ্রামে গেলে সেখানকার মাদকাসক্ত যুবকদের সাথে চলাফেরা করে। তাদের সাথেই ভালো সম্পর্ক। এর বাইরে ফয়সাল সম্পর্কে বেশি কিছু জানাতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রোবট্রনিক্স ফেস্টের প্রজেক্ট শোকেস প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রাজউকের ১৬ বছরের কার্যক্রম নিরীক্ষার নির্দেশ

নৌপথে চাঁদাবাজির মামলায় সমন্বয়ক পরিচয়দানকারীসহ ৭জন গ্রেফতার

চাঁদপুরের আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

দীর্ঘ ১৫ বছর পর আজ নওগাঁ জেলা বিএনপি’র সম্মেলন

শাহজালালে যাত্রী চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ৫ নির্দেশনা