বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালন
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে এক বছরে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৬৯৩ জন
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগ থেকে গত বছরে ৬ হাজার ৬৯৩ জন রোগী কেমোথেরাপি সেবা পেয়েছেন। ২০২৪ সালের মে মাস থেকে চলতি জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ২৪ জন জরায়ুমুখ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ব্র্যাকিথেরাপি চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় শজিমেক’র কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ওয়াদুদুল হক তরফদার। গেস্ট অব অনারের বক্তব্য রখেন শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জুলফিককার আলম।
এছাড়াও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ, সহকারী অধ্যাপক (ইএনটি) ও সদস্য সচিব বিএমএ বগুড়া ডা. আব্দুল ওয়াহেদ, সহকারী পরিচালক ডা. মো. আল মামুন প্রমুখ। রেডিওথেরাপি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মোবাশ্বের-উর-রহমানের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী রেজিস্ট্রার (রেডিওথেরাপি) নিউটন কুমার সরকার এবং রেজিস্ট্রার (ফ্যাকাল্টি অব ডিন্টিস্ট্রি) ডা. শাহাদুল ইসলাম সাহাদত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেডিওথেরাপিস্ট (রেডিওথেরাপি) ডা. সোনিয়া সেহেরীন তমা।
সভায় মূল প্রবন্ধে উঠে আসে, ক্যান্সার বর্তমান বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে। প্রতিবছর অনেক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রাণঘাতি এই রোগের জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। সঠিক সময়ে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসা না নেয়ার কারণে ক্যান্সার রোগ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
আরও পড়ুনআশার কথা হচ্ছে এ রোগের বিভিন্ন কার্যকরী চিকিৎসা যেমন-কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি, আধুনিক রেডিওথেরাপি মেশিন ইত্যাদি আবিষ্কৃত হওয়ায় বর্তমানে প্রাথমিকভাবে এই রোগ শনাক্ত হলে, রোগটি শতভাগ ভালো হবার সম্ভাবনা থাকে। বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের সচেতনতামূলক অনুভূতি সবার ভিতর সক্রিয় হোক। আর্থসামাজিক অবস্থার কারণে দেশে ক্যান্সার রোগীদের অবস্থা শোচনীয়।
এই প্রেক্ষাপটে শজিমেক হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগ বৃহত্তর উত্তরবঙ্গে ক্যান্সার রোগীদের সেবা প্রদান করে আসছে। এই বিভাগে ২০ শয্যাবিশিষ্ট কেমোথেরাপিতে ডে-কেয়ার ব্যবস্থায় কেমোথেরাপি চিকিৎসা চালু আছে। যেখানে প্রতিদিন গড়ে ২৫ জন রোগী কেমোথেরাপি সেবা পাচ্ছেন।
এই সেবাটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয় এবং কেমোথেরাপি ওষুধ সরবরাহ থাকা সাপেক্ষে বিনামূল্যে পেয়ে থাকেন। এর আগে দিবসটিতে কলেজের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়।
মন্তব্য করুন