গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুরোদমে চলছে আগাম জাতের ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ায় গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। বর্ষা এবং কালবৈশাখী না হওয়ায় অনেকটা স্বস্তিতে আগাম বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করছেন কৃষক। রোগবলাাই ও চিটা কম হওয়ায় উৎপাদিত ধানের ভালো ফলনের আশাবাদী কৃষকরা। বোরো ধান কাটার পর জমি ফেলে না রেখে আউশ ধান চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
এ বছর জেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, উচ্চ ফলনশীল বা উফশী জাত ৮৩ হাজার ৫২০ এবং ৪৩০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা হয়।
এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ধান চষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩১ হাজার ৯৮ হেক্টর আর চাষ করা হয়েছে ৩১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। অনুকূল আবহাওয়ায় চলতি বছর গোবিন্দগঞ্জে বোরো ধানের ভালো ফলন আশা করছেন কৃষক।
এরই মধ্যে ব্রি ধান ৬৮, ৭৪, ৮১, ৮৮, ৮৯, ৯২, ৯৬, ১০০ ও ১০৮ এবং বিনা ধান ২৪, ২৫ এর মত আগাম জাতের ধান পাকায় শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭৪১ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। চিটা কম হওয়ায় ধানের ভালো ফলন হওয়ায় খুশি কৃষক।
সাপামারা ইউনিয়নের মেরী গ্রামের বাবলু মিয়া ও দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের জবেদ আলী বলেন, আগাম জাতের ধানের ফলন বেশ ভাল। এবার তেমন কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় এবং আবহাওয়া ভাল থাকায় খুব সহজে কোন ক্ষতি ছাড়াই আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে পেরেছি। বাজারে ভাল দাম নিশ্চিত হলেই লাভবান হওয়া সম্ভব।
কৃষকরা বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর পোকা ও রোগবালাইয়ের প্রকোপ কম তাই হাইব্রিডসহ সার্বিকভাবে বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় কোন ক্ষতি ছাড়াই নির্বিঘ্নে উৎপাদিত বোরো ধান কাটা মাড়াই করে ঘরে তুলছেন কৃষক। এবছর হাট বাজারগুলোতে প্রতিমণ ধান ১ হাজার থেকে ১হাজার ১শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ধানের দাম আরো বৃদ্ধি করার দরকার। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মেহেদী হাসান বলেন, আবহাওয়া অনুকুল থাকায় বোরো আবাদে এবারে ধানে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। এতে করে বোরো আবাদে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। বোরো ধান কাটার পর পরিত্যাক্ত জমিতে আউশ ধান অথবা সবজি চাষের পরামর্শ দেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সরকার ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে খাদ্য গুদামগুলো সরাসরি কৃষক পর্যায়ে ধান সংগ্রহে কোন কৃষক যাতে হয়রানির শিকার না হয় এমন দাবি বোরো চাষিদের।
মন্তব্য করুন