শেখ হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে হলফনামায় শেখ হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন বলছেন, নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘন করায় তার প্রার্থিতা থাকার সুযোগ ছিল না।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। দেশ ছেড়ে পালানো শেখ হাসিনা ২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ থেকে ২০২৪ বিগত তিন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিল গ্রহণযোগ্য।
তবে দুদক সেই নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হলফনামার তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা বলছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার অস্থাবর হিসাব দাখিল করেন শেখ হাসিনা।
কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনার তৎকালীন সময় স্থাবর সম্পদ ছিল ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। আর অস্থাবর সম্পদ ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার। সব মিলিয়ে ২ কোটি ৩ লাখ টাকার বেশি সম্পদের তথ্য আড়াল করার প্রমাণ মিলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তথ্য গোপন করায় শেখ হাসিনার প্রার্থিতা থাকার সুযোগ ছিল না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
দুদক আইন অনুযায়ী এই মিথ্য তথ্য দেয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা বা পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবেও বলে জানান আব্দুল মোমেন।
মন্তব্য করুন