সিরাজগঞ্জে রাত হলেই যাত্রীদের কাছে সিএনজি চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জে রাত হলেই যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে সিএনজি চালকরা। এতে বাধ্য হয়েই যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া গুনছেন। তবে এটা নিয়ে প্রশাসন ও সিএনজি মালিক সমিতির কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন, কাঠেরপুল, চোরাস্তা, কড্ডার মোড় ও নলকাসহ প্রত্যেক সিএনজি স্ট্যান্ডে রাত হলেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়ার পরিমাণও প্রায় দুই থেকে তিনগুণ। যমুনা সেতু পশ্চিম কাড্ডার মোড় থেকে শহরে স্বাভাবিক ভাড়া ২০ টাকা কিন্তু সন্ধ্যা হলেই এটা বেড়ে যায় ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
কড্ডার মোড় থেকে বেলকুচি ও এনায়েতপুর সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিএনজি চালকরা সন্ধ্যা হলেই অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন। যা নির্ধারিত ভাড়ার চাইতেও দুই থেকে তিনগুণ বেশি। রাত যত গভীর হয়, ভাড়া ততো বেড়ে যায়। কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে তারা এই ভাড়া প্রদান করেন।
মাসুদ রানা নামে এক যাত্রী বলেন, কড্ডার মোড় থেকে এনায়েতপুরে স্বাভাবিক ভাড়া ৪০ টাকা কিন্তু রাত হলেই সেই ভাড়া বেড়ে দাড়ায় ৮০-১০০ টাকায়। আমাদের কিছু করারও থাকেনা। প্রতিবাদ করলে পড়তে হয় চালকদের ক্রোধের মুখে। সিএনজি চালকদের সঙ্গে রাতে ভাড়া দিয়ে কথা বললেই বলে রাতের ভাড়া ৮০ টাকা। গেলে যান, না হলে হেটে যেন। গেলে ৮০ টাকাই দিতে হবে।
আরও পড়ুনজানা যায়, সিরাজগঞ্জ রেলগেট সিএনজি মালিক সমিতির আওতায় সিএনজি গুলো চলাচল করে। এবিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেনি। ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। জেলা প্রসাশনের মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছিল।
পরে জেলা প্রশাসন সিএনজি মালিক সমিতিকে ডাকলেও তারা আসেনি। মূলত আমাদের একার পক্ষে এটা সমাধান করা সম্ভব না আমরা বিআরটিএ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। সিরাজগঞ্জ বিআরটিএ এর মোটরযান পরিদর্শক হাফিজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে মাসিক সমন্বয় সভায় এটা উপস্থাপন করা হয়েছিল। জেলা প্রসাশন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মন্তব্য করুন