ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি

স্পোর্টস ডেস্ক : ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলের চার দলই উঠেছিল নক আউটে, দুটি কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখান থেকে টিকে যায় ফ্লুমিনেন্স। তাদেরও স্বপ্নের পথচলা শেষ হলো। সেমিফাইনালে চেলসির কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব। প্রথমবার শুরুর একাদশে জায়গা পেয়ে ছেলেবেলার ক্লাবকে জোড়া গোল দিয়েছেন হোয়াও পেদ্রো।
ব্রাইটন থেকে গত সপ্তাহে ৬ কোটি পাউন্ডে চেলসিতে যোগ দেন পেদ্রো। ১৮ মিনিটে বাঁকানো শটে জাল কাঁপান। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুর দিকে নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে জয়সূচক গোল করেন ২৩ বছরের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।আগামী রবিবার ফাইনাল। চেলসির প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা পিএসজি। দুই দল বুধবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে।
গত শুক্রবার পালমেইরাসের বিপক্ষে বদলি হিসেবে চেলসি পেদ্রোকে অভিষিক্ত করে। মঙ্গলবার শুরুর একাদশে জায়গা পেয়ে ১৮ মিনিটে গোল করেন তিনি। মাঝমাঠ থেকে বল টেনে পেদ্রো নেতোর সঙ্গে পাস বিনিময় করে বক্সের প্রান্ত থেকে চমৎকার গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধে গোল এসেছে ৫৬ মিনিটে। এনজো ফের্নান্দেসের কাছ থেকে বল পেয়ে ড্রিবল করে বক্সে ঢোকেন পেদ্রো। তারপর কোনা ঠিক করে ক্রসবারের নিচ দিয়ে জালে বল জড়ান তিনি। এই দুই গোলের মাঝে ফ্লুমিনেন্স প্রথমার্ধে দুটি সুযোগ নষ্ট করে। ২৬ মিনিটদ হারকিউলিসের শট চেলসি কিপার রবার্ট সানচেজকে পরাস্ত করলেও গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন মার্ক কুকুরেল্লা। ৩৬ মিনিটে রেফারি ফ্লুমিনেন্সের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজালেও রিভিউতে সিদ্ধান্ত পাল্টান।
আরও পড়ুনদলকে জিতিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন পেদ্রো। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে তার অনুভূতি, ‘আমি প্রথম গোল করে খুশি। আমি জানি এই টুর্নামেন্ট তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি স্যরি বলছি না। কারণ আমি পেশাদার। আমাকে এই গোলের জন্য অর্থ পাই।’ ২০২৩ সালের ফাইনালে ওঠা ফ্লুমিনেন্স তাদেরই একসময়ের খেলোয়াড়ের কাছে হেরে গেলো। ক্লাবটির একাডেমিতে বেড়ে ওঠা পেদ্রো ব্রাজিলিয়ান শীর্ষ লিগে ২৫ ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন ২০১৯ সালে।
মন্তব্য করুন