মোসাদ্দেককে ‘সরি’ বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক

স্পোর্টস ডেস্কঃ সাকিব আল হাসানের পর নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার নেই ওয়ানডে দলে। সেই অভাব মেটাতে বিকল্প হতে পারতেন মোসাদ্দেক হোসেন। এবার তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই ডিপিএল জিতেছে আবাহনী।

তারপরও মোসাদ্দেককে ওয়ানডে দলে না নেওয়ার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছিলেন, ‘‘যত দিন মিরাজ দলে আছে, তত দিন মোসাদ্দেকের সুযোগ নাই।’’

বুধবার (৯ জুলাই) ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন গাজী আশরাফ। এসময় মোসাদ্দেককে নিয়ে করা কটুক্তির বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি এ–ও জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমে ওই বক্তব্যের জন্য পরে তিনি মোসাদ্দেকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

গাজী আশরাফ তার ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আপনারা অনেকেই ইউটিউবিং করেন, সেখানে এডিট করেন নিশ্চয়ই। আমিও কলাম লিখতাম, সেখানে শব্দচয়নে কাটাকাটি ছাড়া লিখতাম না। তবে আমি যেটা বলেছিলাম, সেটা লাইভ অনুষ্ঠানে বলেছিলাম। ২০-২৫ মিনিটে সবার অগণিত প্রশ্নে অনেক কথাই বলে ফেলেছিলাম। তখন অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একটু অসাবধানতা হয়েছিল আমার।’

গাজী আশরাফ বলেন, ‘আমি আসলে একটা প্রশ্নের উত্তরেই বলেছিলাম যে যতক্ষণ মিরাজ আছে, ততক্ষণ সুযোগ নেই। সে রাতেই প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে চট্টগ্রামে যাওয়ার পর ওখানে মনে হলো, আমি তিনটা শব্দে ভুল করেছি। বলা উচিত ছিল, যতক্ষণ মিরাজ আছে, ততক্ষণ মোসাদ্দেকের সুযোগ অনেক কম। এ তিনটা শব্দে আমার ভুল হয়েছিল।’

মোসাদ্দেকের সঙ্গেও ব্যক্তিগতভাবে দেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিপু। তখন বিসিবির প্রধান নির্বাচক এই অলরাউন্ডারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘দুই দিন পর আমার সঙ্গে মোসাদ্দেকের দেখা হয়। আমি তাকে সরাসরি বলেছি, সরি। আমি ওভাবে বলতে চাইনি এটা জানিয়েছি। আমি চাই মোসাদ্দেক অন্য সবার মতো যথেষ্ট ম্যাচ খেলুক ঘরোয়ায়। আমাদের নজরে তাতেই আসবে।’

টাঙ্গাইলে হোস্টেলে মিললো ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ

মোসাদ্দেককে ‘সরি’ বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক

ইকোপার্কের গাছে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

গাজী আশরাফ কথা বলেছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ২–১ ব্যবধানে হারের ব্যর্থতা নিয়েও। তাঁর দৃষ্টিতে সিরিজে মূলত দুটি জায়গায় শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ দল, ‘শ্রীলঙ্কার সিমাররা যা করতে পেরেছে, আমাদের সিমাররা তা পারেনি, তারা মাঝে ব্রেক থ্রু দিতে পারেনি। আবার শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংটাকে ডিপে নিয়ে যেতে পেরেছে। সেখানেও তারা আমাদের ছাড়িয়ে গেছে।’

বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়ে বলতে গিয়েও শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের উদাহরণ টেনেছেন প্রধান নির্বাচক, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেনি। তাদের দুজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস ও চারিত আসালাঙ্কা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে জায়গায় আমরা পিছিয়ে গেছি। অভিজ্ঞরা চলে যাওয়ার পর আমাদের দলে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এটা পূরণ হতে একটু সময় লাগবে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো খেলোয়াড়ের সংকট আছে আমাদের। ৩০ জন খেলোয়াড়কে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে সবকিছু। তবে আশা করি এ দল, এইচপি থেকে খেলোয়াড় উঠে আসবে।’